শিরোনাম
.jpg)
বকেয়া ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বিসিবি। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসর থেকেই মাঠের উত্তাপের পাশাপাশি আলোচনায় থেকেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক শৃঙ্খলা। সেই তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই অন্যতম আলোচিত নাম চিটাগং কিংস। ২০১২ এবং ২০১৩ সালের আসর শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে তাদের বকেয়া পরিশোধ না করা নিয়ে চলেছে দীর্ঘ টানাপোড়েন।
বিসিবি বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চিটাগং কিংসের মালিক প্রতিষ্ঠান এস.কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় আসরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, কর, খেলোয়াড় ও স্টাফদের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
এই অনাদায়ের কারণে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিক নোটিশ ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষ একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছালেও সেই চুক্তি অনুযায়ী এস.কিউ. স্পোর্টস একটি টাকাও পরিশোধ করেনি।
ফলে ২০২৫ সালের ২২ জুলাই বিসিবি চুক্তিটি বাতিল করে নতুন নোটিশ জারি করে। সেই নোটিশে তারা ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ মার্কিন ডলার( যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা) বকেয়া দাবি করে। এর মধ্যে মূল বকেয়া ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪ ডলার, আর ২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ ডলার।
বিসিবি বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগের মতো মাত্র ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ আর নেই। তাদের ভাষায়, “চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় সম্পূর্ণই এস.কিউ. স্পোর্টসের।”
এছাড়া বিপিএলের ১১তম আসরেও একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিসিবি দাবি করেছে, ওই আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খেলোয়াড়, কোচ, হোটেল এবং সরবরাহকারীদের পাওনা মেটায়নি। বোর্ড নিয়মিত এসব পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ ও নোটিশ পাচ্ছে।
ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এমন আচরণ শুধু চুক্তিভঙ্গ নয়, পুরো টুর্নামেন্টের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। তারা এও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রয়োজনে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: