এনসিএলের ম্যাচ ফি বাড়ছে 

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৩৩

শেয়ার

এনসিএলের ম্যাচ ফি বাড়ছে 
ঘরোয়া ক্রিকেটে গুণগত পরিবর্তন আনতে এনসিএলের ম্যাচ ফি বাড়ানোর সঙ্গে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। ছবি: সংগৃহীত।

ঘরোয়া ক্রিকেটকে পেশাদার কাঠামোয় নিয়ে যেতে নতুন করে পরিকল্পনায় নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সামনে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়ানোর আগেই মাঠ, খেলোয়াড় এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নতুন করে ভাবছে বোর্ড। এক্ষেত্রে শুধু খেলার মানই নয়, বরং শৃঙ্খলা, সরঞ্জাম এবং মিডিয়া আচরণ সব ক্ষেত্রেই বাড়ানো হয়েছে কড়াকড়ি।

 

এবারের এনসিএল ঘিরে উইকেটই হচ্ছে সবচেয়ে বড় আলোচনার জায়গা। স্থানীয় ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন সব জায়গা থেকেই বাংলাদেশের উইকেট নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সে কারণেই এবার রানসমৃদ্ধ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ উইকেট তৈরির ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ড পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। তার মতে, “আমরা চাই ভালো উইকেটে খেলা হোক, যেন টি-টোয়েন্টির মতো রান হয়।”

 

উইকেট ছাড়াও খেলোয়াড়দের আর্থিক ও পেশাদার সুবিধায়ও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। এনসিএলে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, যা আগের তুলনায় ১৫ হাজার বেশি। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। বোর্ড মনে করছে, পেশাদার কাঠামো আনতে হলে অর্থনৈতিক প্রণোদনাও জরুরি।

 

শৃঙ্খলা রক্ষার দিকেও এবার বিশেষ নজর বিসিবির। বরিশাল বিভাগের একটি নেতিবাচক ঘটনা ঘিরে টিম ম্যানেজার ও নির্বাচকদের ডেকে বোর্ড ইতোমধ্যে দিয়েছে সতর্কবার্তা। বোর্ড চায়, মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের আচরণ হোক নিয়ন্ত্রিত ও কাঠামোবদ্ধ। সেই জায়গা থেকেই এবার দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক দলকে নির্দিষ্ট হেলমেট ও গিয়ার। আকরাম খান জানান, “অনেকে অন্য দলের হেলমেট পরে খেলে। এবার সেটা নয়। প্রত্যেক দলকে আমরা নির্দিষ্ট হেলমেট দিচ্ছি।”

 

কেবল সরঞ্জামই নয়, মিডিয়ার সামনে কীভাবে কথা বলবে খেলোয়াড়রা, সেই বিষয়েও এসেছে নির্দেশনা। এ নিয়ে স্পন্সরদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বোর্ড। আকরাম খান বলেন, “সবকিছু যেন সঠিকভাবে চলে, যেটা আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখে সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। হয়তো এক বছরে সব হবে না, কিন্তু ধাপে ধাপে চেষ্টা করছি।”

 

তবে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি। জানান, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।

 

বিসিবির এই তৎপরতায় বোঝা যায়, মাঠের খেলা ও মাঠের বাইরের কাঠামো দু’দিক থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরও বেশি পেশাদার ও নিয়ন্ত্রিত রূপে গড়তে চায় বোর্ড। আমিনুল ইসলাম বুলবুল বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বোর্ডের অভ্যন্তরে যে নতুন গতির ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে, সেটিরই ধারাবাহিক প্রতিফলন এই উদ্যোগগুলো।