শিরোনাম

মালয়েশিয়ার কাছে হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপ হকিতে প্রথম ম্যাচেই পরিচিত গল্পের পুনরাবৃত্তি। দারুণ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারতের রাজগিরের বিহার স্পোর্টস হকি স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় হারে টুর্নামেন্ট শুরু করল মশিউর রহমানের দল। বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি এসেছে আশরাফুল ইসলামের স্টিক থেকে।
ম্যাচের শুরুটা ছিল দারুণ আশার। প্রথম কোয়ার্টারেই জমাট রক্ষণের কাছে আটকে যায় মালয়েশিয়ার একের পর এক আক্রমণ। বরং দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই পেনাল্টি কর্নার থেকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, স্কোরশিটে নাম তোলেন আশরাফুল। কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। মাত্র তিন মিনিট পরই মালয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান আশ্রান হামসানি।
তৃতীয় কোয়ার্টারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৩৫ মিনিটে আখিমুল্লাহর গোল মালয়েশিয়াকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণ বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো শেষ কোয়ার্টারে আরও দুইবার বল তুলতে হয়েছে তাদের জালে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে ব্যবধানটা যে কতটা, তা আসলে পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ২৯তম, মালয়েশিয়া ১২তম। দুই দলের সাম্প্রতিক মুখোমুখি ইতিহাসও বলছে একই কথা। ২০২২ এশিয়া কাপে এই মালয়েশিয়ার কাছেই ৮-১ গোলের হারে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তারও আগে ২০১৮ এশিয়ান গেমসে হেরেছিল ৭-০ গোলে। এবারের হারে ব্যবধান কিছুটা কমালেও গল্পটা একই, বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া।
তবু এবারের আসরে বাংলাদেশকে পাওয়া যেন একপ্রকার ‘অপ্রত্যাশিত সৌভাগ্য’। পাকিস্তান নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সুযোগটা এসে যায় মশিউর রহমানদের সামনে। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে আগামী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে জায়গা পাবে ওবায়দুল হোসেন-বিপ্লব কুজুররা। আগামী বছর বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে বসবে বিশ্বকাপ হকির আসর। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি খেলবে ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে, শীর্ষ ছয়ে থাকা বাকিদের জন্য আছে বাছাইপর্বের লড়াই।
১৯৮২ সালে এশিয়া কাপে অভিষেকের পর এটিই বাংলাদেশের ১১তম অংশগ্রহণ। সর্বোচ্চ অর্জন পঞ্চম স্থান। এবারের গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী মালয়েশিয়া ও চায়নিজ তাইপে ছাড়াও আছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (২৯) পরে কেবল চায়নিজ তাইপে (৩৮)। আর সেরা দুই দল মালয়েশিয়া (১২) ও দক্ষিণ কোরিয়া (১৩), বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে।
দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চায়নিজ তাইপে, আর ১ সেপ্টেম্বর লাল-সবুজরা নামবে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে হারলেও এখনো বাকি আছে অনেক কিছু প্রমাণ করার
আরও পড়ুন: