ভারতে এশিয়া কাপ খেলবে না পাকিস্তান, সুযোগ বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:১৭

শেয়ার

ভারতে এশিয়া কাপ খেলবে না পাকিস্তান, সুযোগ বাংলাদেশের
এশিয়া কাপে পাকিস্তান সরে দাঁড়ানোয় খুলল বাংলাদেশের দরজা। ছবি: সংগৃহীত।

এশিয়া কাপ হকিতে হঠাৎই খুলে গেল বাংলাদেশের জন্য নতুন দরজা। ভারতের মাটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। আর তাতেই ২৯ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সুযোগ এসেছে। যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, তবে সুযোগটি হাতছাড়া না করার তাগিদ দিচ্ছেন দেশের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচরা।

 

ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বহুদিনের। গত দুই দশকে ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজই হয়নি দুই দেশের মধ্যে। আইসিসি কিংবা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের টুর্নামেন্টেও আয়োজক দেশকে ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। এবার সেই রাজনৈতিক শীতল সম্পর্ক এসে পড়ল হকিতেও। পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত নয় বলে তারা এশিয়া কাপে অংশ নেবে না।

 

এই সরে দাঁড়ানোই বাংলাদেশকে এনে দিল বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ মামুন উর রশিদের মতে, সুযোগটি যেকোনো মূল্যে কাজে লাগানো উচিত। তার ভাষায়, "ফান্ড নেই এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের অবশ্যই এর সমাধান বের করতে হবে।"

 

বাংলাদেশের এশিয়া কাপ হকিতে অভিষেক হয় ১৯৮২ সালে। এরপর খেলা ১১ আসরের সেরা সাফল্য পঞ্চম স্থান। দীর্ঘদিন ধরে বড় কোনো সাফল্য না পাওয়া বাংলাদেশ হকির জন্য এবারের সুযোগ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় বরং বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ারও সম্ভাবনা।

 

তবে বাস্তব চ্যালেঞ্জের কথাও আছে। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় দল তৈরি করাই এখন বড় সমস্যা। "আমরা জানিই না, যাচ্ছি কি না। তাই ক্যাম্প ডাকতেও পারছি না। অধিকাংশ খেলোয়াড়ই নিজেদের ফিট রাখে না। আর ভিসা ও আমন্ত্রণপত্রের মতো কাজেই সময় লেগে যায় ১০-১৫ দিন।"

 

ফেডারেশনের এই অনিশ্চয়তা একদিকে সুযোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অন্যদিকে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে জন্ম দিয়েছে হতাশা। কারণ, আন্তর্জাতিক বড় মঞ্চে খেলা কেবল খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা বাড়াবে না, বরং দেশে হকির প্রতি নতুন করে আগ্রহও তৈরি করবে।

 

সাবেক খেলোয়াড়দের মতে, পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানোয় যে ‘ফ্রি পাস’ এসেছে, তা হারালে দীর্ঘদিন আফসোস করতে হবে। তারা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশ হকির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের বিরল সুযোগ।