শিরোনাম
.jpg)
সুনীল নারিনের এক ওভারে ১৮ রান নেওয়ার পথে সাকিবের শট। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যান্টিগার প্রভিডেন্সের রাতটা শুরু হয়েছিল দারুণভাবে। এলিমিনেটরে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে নামতে নামতেই যেন বুঝে গিয়েছিলেন নিজের কাজটা, বড় শট খেলে দলের স্কোরটা বাড়িয়ে দেওয়া। মাত্র ৯ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে সেটাই করলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
বিশেষ করে সুনীল নারাইনের এক ওভারে যেন ঝড় বইয়ে দেন। প্রথম বল ডট হলেও পরপর তিন চার ও এক ছক্কায় জমিয়ে দেন গ্যালারি। সেই ওভারেই ১৮ রান তুলে দলকে দ্রুতগতির জ্বালানি দেন সাকিব। যদিও শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি। রেকর্ড গড়ার দিনেই কিছুটা খরুচে হয়ে গেলেন নারাইন, তবে ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করলেও তুলে নিলেন ইতিহাস গড়া উইকেট। ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরিয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান ডোয়াইন ব্রাভোকে, এখন সিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ১৩০ উইকেট নিয়ে।
এর আগে অ্যান্টিগার ইনিংসে আলো ছড়ান ওপেনার আমির জাঙ্গু ও আন্দ্রেস গাউস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে দুটি দারুণ ফিফটি। জাঙ্গু করেন ৪৯ বলে ৫৫, গাউস ৪৫ বলে ৬১ রান। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ১০৮ রানের বড় ভিত্তি গড়ে দেয়। শেষদিকে সাকিবের ক্যামিও যোগ হয়ে দল দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে।
কিন্তু ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং শক্তি এতেই থেমে যায়নি। অ্যালেক্স হেলস আর নিকোলাস পুরান রীতিমতো শাসন চালান অ্যান্টিগা বোলারদের ওপর। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৪৩ রানের জুটি গড়ে নিশ্চিত করে ফেলেন সহজ জয়। হেলস অপরাজিত ৪০ বলে ৫৪, আর পুরান ৫৩ বলে ৯০ রান করে ফিরেছেন জয় নিয়েই।
সাকিব বোল হাতে চেষ্টা করলেও সাফল্য পাননি। তিন ওভারে খরচ করেছেন ২৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হাতে রেখে ১৫ বল বাকি থাকতেই জিতেছে নাইট রাইডার্স। আর সেই হারের সঙ্গে সিপিএল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সাকিবের অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনস: ১৬৬/৮ (গাউস ৬১, আমির ৫৫; সৌরভ ৩/২৩, উসমান ২/১৯)
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৬৮/১ (পুরান ৯০*, হেলস ৫৪*; রাকিম ১/৫০, সাকিব ০/২৪)
ফল: ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নিকোলাস পুরান।
আরও পড়ুন: