শিরোনাম
.jpg)
প্রথমবারের মত সিপিলের প্লে-অফে অ্যান্টিগা। ছবি:সংগৃহীত।
ভোরের ম্যাচে এক অদ্ভুত উত্থান–পতনের সাক্ষী হলেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে ছিলেন কার্যকর, কিন্তু ব্যাট হাতে যেন বিপদ ডেকে আনলেন নিজের দলকেই। দুই বল খেলেই ফিরলেন সাজঘরে মাত্র এক রানে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির খবর অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকন্স জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো প্লে–অফে জায়গা পাকা করেছে।
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ইমরান তাহির হয়তো খানিকটা আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়বেন। সাকিব নেমেছিলেন তার হ্যাটট্রিক বল খেলতে। যদিও সিঙ্গেল নিয়ে হ্যাটট্রিক ভাঙেন তিনি, কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। মঈন আলীর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাট মিস করে শরীরে আঘাত পায় বল। প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি, তবে রিভিউতে ধরা পড়ে সাকিবের বিপদ।
মাত্র ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অ্যান্টিগা পড়েছিল বিপদে। ২৪ রানে হারায় চার উইকেট। কিন্তু আমির জাঙ্গুর ৫৭ বলে অপরাজিত ৫১ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের ১৪ বলে ১৫ রানে দলটিকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।
এর আগে টসে জিতে ফ্যালকন্সের বোলিং সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয় শুরুতে। পাওয়ার প্লেতে ২৬ রানে তিন উইকেট হারায় গায়ানা। তবে সপ্তম ওভার থেকে পাল্টা আক্রমণে যায় তারা, আর সেই ওভারটাই ছিল সাকিবের প্রথম। শাই হোপের ব্যাটে ছক্কা–চার মিলে আসে ১১ রান।
তবে অভিজ্ঞ সাকিব পরের ওভারেই ফেরেন দুর্দান্তভাবে। এক চারে শুরু হলেও গুঁড়াকেশ মোতিকে বুদ্ধিদীপ্তভাবে স্টাম্পিং করিয়ে নেন তিনি। সেই সঙ্গে টি–টোয়েন্টিতে নিজের ৫০৪তম উইকেট তুলে নেন।
পুরো চার ওভারই শেষ করেন সাকিব। তৃতীয় ওভারে দেন ৯ রান, আর শেষ ওভারে মাত্র ২ রান। শেষমেশ সাকিবের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪ ওভারে ২৮ রান, ১ উইকেট। বোলিংয়ে এমন ছন্দময় পারফরম্যান্সের পরও ব্যাটিং ব্যর্থতা খানিকটা দাগ কেটেছে দিনটিতে।
আরও পড়ুন: