শিরোনাম

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
আঠারো বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত আসরে প্রথমবারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই সাফল্যে উল্লাসে ভেসেছিল পুরো বেঙ্গালুরু শহর। তবে আনন্দের মুহূর্ত অচিরেই পরিণত হয়েছিল শোকের আবরণে। শিরোপা উদযাপনের দিনে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন সমর্থক, আহত হন আরও অন্তত ৭৫ জন।
ঘটনার তিন মাস পর অবশেষে মুখ খুললেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। শিরোপাজয়ের পরদিন ভোরেই ভিক্টরি প্যারেডে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে আসেন তিনি। কিন্তু তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার বহু গুণ বেশি ভক্ত সেখানে ভিড় করায় নিয়ন্ত্রণ হারায় পরিস্থিতি। কর্ণাটক সরকার স্পষ্টতই দায়ী করে আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। অথচ কোহলি তখন চুপই ছিলেন।
নীরবতা ভেঙে এবার সমর্থকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় কোহলি লিখেছেন, “জীবনে কেউই প্রস্তুত থাকে না এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য। ৪ জুন আমাদের দলের ইতিহাসে আনন্দের দিন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে। যারা আর আমাদের মাঝে নেই, তাদের পরিবারের জন্য এবং আহত ভক্তদের জন্য আমি প্রার্থনা করি। এই ক্ষতি এখন থেকে আমাদের গল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
শুধু কোহলি নন, অধিনায়ক রজত পাতিদারও সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগী বার্তা দিয়েছেন। তার ভাষায়, “বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নামা মানেই আবেগের গল্প। সেই আবেগ আসে আপনাদের ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন থেকে। আপনাদের এই ক্ষতির যন্ত্রণা আমরা ভুলব না। জানাতে চাই, আপনারা সবসময় আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনায় থাকবেন।”
ভয়াবহ সেই ঘটনার পর নিহত সমর্থকদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরসিবি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রকাশ করেছে ছয় দফা নিরাপত্তা পরিকল্পনা, যাতে ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় আর না ঘটে। নিহত ভক্তদের স্মরণে শহরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ঘোষণাও এসেছে তাদের পক্ষ থেকে।
বেঙ্গালুরুর বহু বছরের স্বপ্নপূরণ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে হলেও, সেটি যে চিরকালই এক রক্তক্ষত স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে, তা হয়তো কখনও ভোলার নয়।
আরও পড়ুন: