শিরোনাম

বিজয়মিছিলে আইপিএল শিরোপা হাতে ভিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
আইপিএলের গত আসরে বহু প্রতীক্ষার পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ দ্রুতই রূপ নেয় শোকের ছায়ায়। শিরোপা উদ্যাপন উপলক্ষে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পাশে আয়োজিত শোভাযাত্রায় বিপুল জনসমাগমে ঘটে যায় ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন সমর্থক, আহত হন কয়েক শ মানুষ।
এই দুঃখজনক ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ‘আরসিবি কেয়ার্স’ নামে চালু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য, প্রয়াত সমর্থকদের স্মৃতিকে সম্মান জানানো এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের পরিবারকে সহায়তা করা। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় আরসিবি লিখেছে, “আমরা আমাদের পরিবারের ১১ জনকে হারিয়েছি। তারা শুধু সমর্থক ছিলেন না, আমাদের কমিউনিটি ও দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। তাদের না থাকা প্রতিদিন আমাদের স্মৃতিতে ফিরে আসবে। অর্থ দিয়ে সেই শূন্যতা পূরণ সম্ভব নয়, তবুও প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে আমরা নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। এটি শুধু সহায়তাই নয়, আমাদের সহানুভূতি, একতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিশ্রুতি।”
ঘটনাটি ঘটে গত ৪ জুন। ফ্র্যাঞ্চাইজি, আয়োজক সংস্থা ডিএনএ এবং কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয় শোভাযাত্রা। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল থাকার কারণে কুইন্স রোড ও কব্বন রোড এলাকায় জনসমাগম দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অতিরিক্ত ভিড়, ঠেলাঠেলি ও শ্বাসরোধের কারণে ঘটে মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনা, যা কেড়ে নেয় ১১টি প্রাণ।
এই ঘটনার পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আর কোনো ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি। ২০২৫ সালের মহারাজা ট্রফির ম্যাচগুলো মাইসুরুতে স্থানান্তর করা হয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়ায়। সম্প্রতি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫-এর নির্ধারিত ম্যাচগুলো আয়োজনের স্বত্বও হারিয়েছে স্টেডিয়ামটি।
আরও পড়ুন: