শিরোনাম

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’র সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিরাট কোহলির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া কোহলির নজর এখন মূলত ওয়ানডে ক্রিকেট এবং আইপিএলে। তবে তিনি কখনও ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ পদ্ধতির পক্ষে নন। আইপিএলে বিশেষভাবে শুধু ব্যাটিং বা বোলিং করার সুবিধা থাকলেও কোহলি সবসময় মাঠে সম্পূর্ণ সক্রিয় থাকতে চান।
সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে যোগদান করা তরুণ ক্রিকেটার স্বস্তিক চিকারা এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বিরাট ভাই বলেছেন, যত দিন ফিট আছি, তত দিন খেলব। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নয়, সিংহের মতো খেলব। আমি ২০ ওভার মাঠে নামব, ফিল্ডিং করব, তারপর ব্যাটিং করব। যেদিন মনে হবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে হবে, সেদিনই ক্রিকেট ছাড়ব।’
আইপিএল-এর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবস্থা অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই ব্যবহার করেছেন। রোহিত শর্মা, ট্রাভিস হেডসহ অনেক খেলোয়াড় ব্যাটিং বা বোলিং-এর মাধ্যমে দলের জন্য বিশেষ অবদান রাখার সুবিধা নিয়েছেন। তবে কোহলির অবস্থান আলাদা। স্বস্তিকের মতে, কোহলির পেশাদারিত্ব এবং মানসিক দৃঢ়তা তাকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করেছে।
এদিকে কোহলির সামনে বড় লক্ষ্য ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের জন্য এই বিশ্বকাপের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দৈনিক জাগরণ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোহলি হয়তো এর আগেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন। একই ধরনের জল্পনা রোহিত শর্মার ক্ষেত্রেও উঠেছে।
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘তারা কি অবসর নিয়েছেন? নিয়েছেন না কি! রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দুজনেই ওয়ানডেতে খেলছেন। তাঁদের বিদায়ের চিন্তা করার কী দরকার? বিসিসিআই কাউকে অবসর নিতে বলবে না, সিদ্ধান্ত নিতে হবে খেলোয়াড়দের নিজেই। আমরা তা সম্মান করি।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোহলির এই মানসিক দৃঢ়তা তার দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি মাঠে নামার পর থেকেই শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিং এবং দলের অন্যান্য দায়িত্বেও সর্বদা সক্রিয় থাকেন। এভাবেই তিনি দলের জন্য সবসময় সম্পূর্ণ অবদান রাখেন, যা অনেক তরুণ ক্রিকেটারের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
ক্রিকেটবিশ্ব এবং ভক্তরা অপেক্ষা করছেন কোহলির ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও জল্পনা চলছেই, বাস্তবে কোহলি তার পছন্দমতো ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আইপিএল বা ওয়ানডে, প্রতিটি ম্যাচে তিনি মাঠে নামবেন সম্পূর্ণ শক্তি ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
আরও পড়ুন: