শিরোনাম

ফুটবলের দুই মহারথী লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত।
লিওনেল মেসি ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই ফুটবলবিশ্বে অনেকেই তাঁকে সর্বকালের সেরা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কান্নাভেজা বিদায়ের মধ্য দিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সেই ব্যাটন মেসির হাতে তুলে দেন। তবুও মেসি–রোনালদো বিতর্ক শেষ হয়নি, বরং এখনো ভক্তদের মধ্যে তা সমান তালে চলছে।
বিশ্বকাপের পর কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। এই সময়টায় পারফরম্যান্স ও সাফল্যের বিচারে রোনালদোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন মেসি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকে রোনালদো নিয়মিত গোল করলেও বড় কোনো ট্রফি জেতাতে পারেননি দলকে। সৌদি সুপার কাপ, কিংস কাপ, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ কিংবা প্রো লিগ, প্রতিটি আসরেই ব্যর্থতা কেবল লম্বা হচ্ছে। রিয়াদ সিজন কাপ ও রিয়াদ সুপার কাপেও হতাশা যোগ হয়েছে সেই তালিকায়।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খারাপ না হলেও বড় ম্যাচে রোনালদো এককভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। অথচ আল নাসরের দলে সাদিও মানের মতো তারকাও আছেন। সর্বশেষ ২০১৮–১৯ মৌসুমে সৌদি লিগ জিতেছিল ক্লাবটি, অর্থাৎ রোনালদোর আগমনের অনেক আগেই। তাই রোনালদোর হাতে আসল শিরোপার খরা থেকেই গেছে।
অন্যদিকে মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন রোনালদোর ছয় মাস পর। একেবারে নতুন ইতিহাস গড়েন তিনি। আগে কখনো শিরোপার দেখা না পাওয়া মায়ামিকে প্রথমবারের মতো লিগস কাপ জেতান। এরপর যোগ করেন এমএলএস সাপোটার্স শিল্ড ট্রফি। এখন তৃতীয় শিরোপার অপেক্ষায় আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আসন্ন লিগস কাপের ফাইনালে যদি জেতেন, তাহলে মায়ামির হয়ে আরও একটি ট্রফি তাঁর নামের পাশে যুক্ত হবে। আর সেটি রোনালদোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে।
শুধু দলীয় অর্জনেই নয়, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও মেসি এগিয়ে। গোল করা, গোল করানো, সবকিছুতেই ইন্টার মায়ামির চালিকাশক্তি তিনি। এমএলএস, লিগস কাপ আর ক্লাব বিশ্বকাপ মিলিয়ে এ বছর মেসি ইতোমধ্যে জিতেছেন ১১টি ম্যাচসেরা পুরস্কার।
রোনালদো এখনো পূর্ণ ফিটনেসে আছেন, নিয়মিত খেলছেনও। তবে পরিসংখ্যান ও সাফল্যের দিক থেকে মেসির ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দুজনের জন্যই শিরোপা জয়ের ধারায় ফেরা গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন এখন একটাই, নতুন মৌসুমে রোনালদো কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন, নাকি মেসির সাফল্য তাঁকে আরও আড়াল করে দেবে?
আরও পড়ুন: