শিরোনাম
.jpg)
মার্কাস র্যাশফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত।
এক মাসও হয়নি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। এখনও লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে পূর্ণ একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবে যতটুকু দেখেছেন, তাতেই এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তার চোখে, এই বয়সে এত ভালো কোনো ফুটবলার তিনি কখনও দেখেননি বা খেলেননি। ইয়ামালকে দেখে র্যাশফোর্ডের মনে পড়ে যায় কেবল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওর শুরুর দিনগুলো।
গত ২৩ জুলাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে বার্সেলোনায় যোগ দেন র্যাশফোর্ড। নিবন্ধন জটিলতা কাটিয়ে কাতালান ক্লাবটির হয়ে তার প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক হয় গত শনিবার লা লিগার ম্যাচে। রেয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয় তাকে। ওই ম্যাচে ইয়ামাল জ্বলে ওঠেন একটি গোল করে, দলের ৩-০ ব্যবধানের জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সামান্য সময়ের অনুশীলন আর ম্যাচের কয়েক মিনিটেই ইয়ামালকে কাছ থেকে দেখেছেন র্যাশফোর্ড। তবে তার চোখে যা ধরা দিয়েছে, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে র্যাশফোর্ড বলেন, “তার যে বয়স… আমি যতজনের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে এই বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার সে। এই বয়সে মাঠে যতটা প্রভাব সে রাখে, আগে এমন কারও সঙ্গে আমি খেলিনি বা দেখিনি। হয়তো রোনালদো নাজারিও ছিলেন…”
র্যাশফোর্ডের মতে, এত কম বয়সে ধারাবাহিকভাবে প্রভাব বিস্তার করা অবিশ্বাস্য। মাত্রই ১৮ বছর বয়স হলো ইয়ামালের, অথচ এর মধ্যেই তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। গত বছর স্পেনের ইউরো জয়, গত মৌসুমে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ে তার অবদান নজর কেড়েছে। এবার ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়েও তিনি আছেন শক্ত অবস্থানে। র্যাশফোর্ড মনে করেন, এ বছর না হলেও ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই ব্যালন দ’র উঠবে ইয়ামালের হাতে।
ইয়ামালের পরিণত মানসিকতায়ও মুগ্ধ র্যাশফোর্ড। তিনি বলেন, “সে শীর্ষমানের প্রতিভা। আমার কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, এই বয়সেই সে কতটা পরিণত, যেভাবে ভাবে ও খেলে… বয়সকে ছাপিয়ে গেছে সে। তার সঙ্গে খেলাটা রোমাঞ্চকর।”
তবে ইয়ামালকে ঘিরে মুগ্ধতা থাকলেও র্যাশফোর্ডের সামনে নিজের চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গত মৌসুমে জায়গা হারিয়ে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলায়। এবার এসেছেন বার্সেলোনায়। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া ও মাঠে নিজেকে প্রমাণ করাই এখন তার বড় লক্ষ্য। র্যাশফোর্ড বলেন, “আমি চেষ্টা করছি দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। অবশ্যই ভুল করব, তবে ভুল থেকে শিখে উন্নতি করব। এখানে যে মানের ফুটবলাররা আছে, সেটাই আমার জন্য বড় সহায়ক।”
আরও পড়ুন: