জাপানে জয় দিয়ে শুরু করল বিকেএসপি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩৪

শেয়ার

জাপানে জয় দিয়ে শুরু করল বিকেএসপি
কোচের জন্মদিনে জয় উপহার দিল বিকেএসপি কিশোররা। ছবি: সংগৃহীত।

জাপানের ফুকুওয়ায় চলমান আমন্ত্রণমূলক অ-১৭ ফুটবল ফেস্টিভ্যালে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কিশোররা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সময় গ্লোবাল অ্যারেনা মাঠে আয়োজিত ম্যাচে স্বাগতিক টকাই বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুল দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের জয়যাত্রা শুরু করে তারা।

 

ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ৭০তম মিনিটে, যখন ফরোয়ার্ড রিফাত কাজীর পা থেকে জালের ঠিকানায় বল জড়ায়। এই গোলই নির্ধারণ করে ম্যাচের ভাগ্য, আর বাংলাদেশি শিবিরে এনে দেয় প্রথম ম্যাচ জয়ের মিষ্টি স্বাদ।

 

প্রথমার্ধে বিকেএসপি তুলনামূলক রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে খেলায় মনোযোগ দেয় প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে। তবে বিরতির পর কোচ হাসান আল মাসুদ আক্রমণভাগে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়ার্ধের এই কৌশল পরিবর্তনেই গোল পায় দলটি। যদিও গোলের নায়ক রিফাত, তবু সমান কৃতিত্বের দাবিদার গোলরক্ষক আলিফ। তিনি কয়েকটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন।

 

ফেস্টিভ্যালটি মূলত প্রীতি প্রতিযোগিতা হলেও মাঠে ছিল যথেষ্ট উত্তেজনা। খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে জাপানে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা গ্যালারিতে উপস্থিত হয়ে সমর্থনের ঢেউ তুলেছেন। তাদের উচ্ছ্বাসে কিশোর ফুটবলারদের মনোবল বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ।

 

ম্যাচটিকে বিশেষ করে তুলেছে আরেকটি অনন্য দিক, এদিন ছিল কোচ হাসান আল মাসুদের জন্মদিন। খেলোয়াড়রা যেন এই জয়কে জন্মদিনের বিশেষ উপহার হিসেবেই দিলেন তাদের পরামর্শদাতাকে। হাসান আল মাসুদ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের ভাই।

 

বিকেএসপির ফুটবল ইতিহাসে এটি একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এতদিন প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় সুব্রত কাপে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করত। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো দলটিকে পাঠানো হয়েছে জাপানে, যেখানে উন্নত মানের মাঠ ও প্রতিযোগিতার পরিবেশে খেলতে পারছে তরুণরা। এর ফলে তাদের খেলায় মানোন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

এই সফরে বিকেএসপি খেলবে মোট তিনটি ম্যাচ। প্রথমটিতে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর খেলোয়াড়রা আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে আরও আক্রমণাত্মক মনোভাবে। কোচ মাসুদ জানিয়েছেন, এই সফরের লক্ষ্য শুধু জেতা নয়, বরং খেলোয়াড়দের মানসিক ও কৌশলগত প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া।