শিরোনাম
.jpg)
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ থেকে বিদায় নিল আবাহনী। ছবি: সংগৃহীত
২৬ দিনের দীর্ঘ প্রস্তুতি, নিজেদের মাঠ, গ্যালারিতে সমর্থকদের প্রত্যাশা সবকিছুর পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফেই থেমে গেল আবাহনীর যাত্রা। জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ২-০ গোলে হার মানতে হলো মুরাস ইউনাইটেডের কাছে, সঙ্গে বিদায়ও নিশ্চিত হলো মারুফুল হকের দলের।
ম্যাচের শুরুতে বোঝাই যাচ্ছিল, দুই বছরের কম সময় আগে গড়া মুরাস ইউনাইটেডের ফুটবলাররা আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ষষ্ঠ মিনিটেই সতীর্থের ক্রসে ডামি করে দেওয়া বল পেয়ে ওলেহ মারচুক পোস্টের সামান্য বাইরে পাঠান।
তিন মিনিট পর মিতুল মারমা প্রথমবারের মতো রক্ষা করেন দলকে কোদজে চাবেলের শক্তিশালী শট ফিরিয়ে দেন ফিস্ট করে। নয় মিনিট পর আল ইগুলভের কোনাকুনি শটও থামিয়ে দেন তিনি।
১৮তম মিনিটে ইব্রাহিমের পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পড়েন সুলেমানে দিয়াবাতে। ভারসাম্য হারালেও দ্রুত উঠে শট নেন, কিন্তু বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ২৩তম মিনিটে আল আমিনের শটও ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পায়, ৩২ মিনিটে ইব্রাহিমের প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধে মিতুলের হাত ধরে গোলশূন্য রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভাঙে প্রতিরোধের দেয়াল। ৪৭তম মিনিটে আন্দ্রে বাতসুলার ক্রসে বক্সের ফাঁকায় দাঁড়ানো আত আই জুমাসেভ হেডে মিতুলকে পরাস্ত করেন।
৫২ মিনিটে ইগুলভের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। তবে ৭২ মিনিটে দিয়াবাতের পাসে শেখ মোরসালিনের শট কর্নারে ফেরান মুরাস গোলকিপার।
অতিরিক্ত সময়েই এলো দ্বিতীয় আঘাত। ইয়াসিন খানের পাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে কামরুল ইসলাম বল তুলে দেন জুমায়েভের পায়ে। এই ফরোয়ার্ডের শক্তিশালী শটে গোলরক্ষক মিতুলের কোনো উপায়ই ছিল না।
২০১৯ সালে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার পর এই প্রথম কোনো মহাদেশীয় আসরে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল আবাহনী। কিন্তু প্রতিপক্ষের গতি, আক্রমণ আর নিজেদের অদক্ষতার মিশ্রণে স্বপ্ন থেমে গেল প্লে-অফের মঞ্চেই।
আরও পড়ুন: