শিরোনাম

ইউরোপা লিগ হারিয়ে কনফারেন্সে নামল ক্রিস্টাল প্যালেস। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিস্টাল প্যালেসের ইউরোপা লিগ খেলার স্বপ্ন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে গেল। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সালিশি আদালত, কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস) ক্রিস্টাল প্যালেসের আপিল খারিজ করে সোমবার (১১ আগস্ট) রায় দিয়েছে ইউইএফএ-র বহুক্লাব মালিকানা নীতির লঙ্ঘনের দায়ে প্যালেসের শাস্তি বহাল থাকবে। ফলে তারা আগামী মৌসুমে খেলবে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে, আর প্যালেসের স্থানে ইউরোপা লিগে সুযোগ পেয়ে গেল নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
ঘটনার সূত্রপাত গত মৌসুমের এফএ কাপ জয় থেকে। ওই শিরোপার সুবাদে ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছিল ‘দ্য ঈগলস’। কিন্তু ইউইএফএ তদন্তে দেখা যায়, তৎকালীন মালিকানায় আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটর প্যালেসের ৪৩% শেয়ার রাখলেও একই সময়ে তিনি ফরাসি ক্লাব লিঁও’র সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিক, যারা একই প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ইউইএফএ’র নিয়ম অনুযায়ী, একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা দুটি ক্লাব একই ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না যদি তাদের মালিকানায় নির্দিষ্ট প্রভাবের সীমা অতিক্রম করে।
প্যালেসকে ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল মালিকানা কাঠামো পরিবর্তনের প্রমাণ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সময়সীমার আগেই কোনো কার্যকর প্রমাণ জমা দিতে পারেনি তারা। টেক্সটর অবশ্য গত জুনে প্যালেসের শেয়ার বিক্রি করেন, তবে ইউইএফএ-র মূল্যায়ন তারিখে তিনি এখনো উভয় ক্লাবেই ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব’ রাখছিলেন বলে সিএএস এর রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাইয়ে প্যালেস ইউইএফএ, লিঁও এবং নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে সিএএস-এ আপিল করেছিল। তবে সিএএস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নিয়ম খুব পরিষ্কার এবং তারিখ অনুযায়ী অননুমতি থাকলে কোনো নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই। একইসাথে প্যালেসের অভিযোগ তাদের সাথে নটিংহ্যাম বা লিঁও’র তুলনায় বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তাও খারিজ করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে নটিংহ্যাম ফরেস্টের ইউরোপা লিগ খেলা নিশ্চিত হলো। অন্যদিকে প্যালেসের জন্য অপেক্ষা করছে নরওয়ের ফ্রেডরিকস্তাদ বা ডেনমার্কের মিডটিয়ুল্যান্ডের বিরুদ্ধে কনফারেন্স লিগ প্লে-অফ, যা হবে এই মাসের শেষ দিকে।
প্যালেসের জন্য এটি এক ধাক্কা বটে, বিশেষ করে এর ঠিক একদিন আগে ওয়েম্বলিতে কমিউনিটি শিল্ডে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জেতার উল্লাস শেষ হয়েছিল। এখন মাঠের বাইরে প্রশাসনিক লড়াই হেরে তারা নেমে যাচ্ছে ইউরোপের তৃতীয় সারির প্রতিযোগিতায়।
আরও পড়ুন: