শিরোনাম

ফরাসি গ্যালারিতে ফের বিদ্রূপের শিকার মার্টিনেজ। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রান্সে পা রাখলেই যেন ইতিহাস তাকে তাড়া করে ফেরে এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্টিনেজের কাছে দেশটি আজও প্রতিকূলতার প্রতীক। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার জয়ের পর ফরাসি দর্শকদের ক্ষোভ আর বিদ্রুপের মুখে পড়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। এবারের প্রীতি ম্যাচেও সেই পুরোনো দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি।
ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফ্রান্সের অলিম্পিক মার্সেইয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল। মাঠে ৩-১ গোলে জয় পায় ভিলা, কিন্তু ডাগআউটে বসা মার্টিনেজের জন্য ম্যাচের শুরুতেই তৈরি হয় বিব্রতকর পরিস্থিতি। জায়ান্ট স্ক্রিনে তার মুখ ভেসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারি থেকে শুরু হয় শিস আর দুয়ো। তবু নির্বিকার ছিলেন তিনি পাশের সতীর্থের সঙ্গে আলাপেই মনোযোগী।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলে জানিয়েছে, এদিন মূল একাদশে ছিলেন ডাচ গোলরক্ষক মার্কো বিজো। খেলা শুরুর আগে ক্যামেরা যখন ২৩ নম্বর জার্সিধারী মার্টিনেজের দিকে ধাবিত হয়, তখনই মার্সেই সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে।
ফ্রান্সে এটাই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোনাকোর মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচেও একই ধরনের বিদ্রূপের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এপ্রিলে পিএসজির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ওয়ার্মআপের সময়ও তার দিকে ছুড়ে দেওয়া হয় শিস ও মন্তব্যের বন্যা। সেদিন আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙানো চুল যেন বাড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজনা।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ নিজের ক্যারিয়ারে সবসময়ই ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। গোলপোস্টের নিচে তার স্নায়ুচাপের খেলা, প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে অঙ্গভঙ্গি বা মন্তব্য সবই তাকে দিয়েছে এক ভিন্ন পরিচিতি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে এই মানসিক খেলা দিয়েই আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর এনে দেন স্বপ্নের শিরোপা। কিন্তু সেই ফাইনালের পর থেকেই ফরাসি সমর্থকদের ক্ষোভ যেন তার চিরসঙ্গী।
গত মৌসুম শেষে ভিলা ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডসহ কয়েকটি ক্লাবের আগ্রহ থাকলেও ট্রান্সফার ফি’র উচ্চ চাহিদা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখনো নিশ্চিত নয়, নতুন মৌসুমে তিনি থাকবেন ভিলায় নাকি পাবেন নতুন ঠিকানা।
আরও পড়ুন: