শিরোনাম

স্প্রে দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশকালে বিশৃঙ্খলাকারীদের চিহ্নিত করবে ব্রিটিশ পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
ফুটবল মাঠে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ। ইংল্যান্ডের চেশায়ার কাউন্টিতে লিগ টু’র সব ম্যাচে দর্শকদের শান্ত রাখতে পুলিশ এবার ব্যবহার করবে ‘ডিএনএ ট্যাগিং স্প্রে’। অপরাধী চিহ্নিতকরণে প্রযুক্তির এই ব্যবহার ফুটবল মাঠে যুক্ত হচ্ছে প্রথমবারের মতো।
‘সিলেক্টা ডিএনএ’ নামের এই স্প্রে মূলত একটি অদৃশ্য তরল পদার্থ, যা মানবদেহ ও পোশাকে দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায় এবং আল্ট্রাভায়োলেট (ইউভি) আলোয় প্রতিফলিত হয়। প্রতিটি স্প্রেতে থাকে ইউনিক ডিএনএ কোড, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো অপরাধ বা ঘটনার সঙ্গে ব্যক্তিকে যুক্ত করার ফরেনসিক প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হয়।
এই স্প্রে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হয় গত মার্চে ক্রু আলেক্সান্দ্রার মাঠে পোর্ট ভেইলের বিপক্ষে ম্যাচে। প্রাথমিক সফলতার পর এবার পুরো মৌসুমে চেশায়ারের প্রতিটি লিগ টু ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আগামী শনিবার (৯ আগস্ট) অ্যাক্রিংটন স্ট্যানলির বিপক্ষে ক্রুর ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এই প্রচেষ্টা।
সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ফুটবল ম্যাচে বিশৃঙ্খলার হার আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। সে কারণেই চেশায়ার কনস্ট্যাবিউলারি এই উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিফ সুপারিনটেনডেন্ট গ্যারেথ রিগলি।
তিনি বলেন, “ফুটবল ম্যাচে দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নানা উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই স্প্রে যুক্ত হচ্ছে। আমরা চাই না এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হোক, তবে প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলাকারীদের দাগিয়ে রাখতেই এটি ব্যবহার করা হবে।”
এটি শুধু ফুটবল নয়, চেশায়ারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানগুলোতেও ‘অপারেশন শিল্ড’ নামে আরও বড় পরিসরে শুরু হচ্ছে। এতে চোর ও ডাকাতদের ঠেকাতে স্প্রে ইনস্টল করা হবে বিভিন্ন ভবনে।
চেশায়ার কনস্ট্যাবিউলারির প্রধান, মার্ক রবার্টস, যিনি যুক্তরাজ্যের জাতীয় ফুটবল পুলিশিংয়ের নেতৃত্বে আছেন, তিনি বলেন, “এটা খুবই ইতিবাচক যে আমরা প্রথম জেলা হিসেবে এই প্রযুক্তি মাঠে আনছি। বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমী শান্তিপূর্ণ হলেও কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই স্প্রে তাদের প্রতিরোধে সহায়ক হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই স্প্রে শুধু অপরাধী শনাক্ত করতেই নয়, বরং আগেভাগে ‘ডিটারেন্স’ বা নিরুৎসাহিত করতেও কাজ করবে। এমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে মাঠে বিশৃঙ্খলা করলে, আইন থেকে পালানোর উপায় থাকবে না।
আরও পড়ুন: