শিরোনাম

নেইমার ফিরছেন, ব্রাজিলে ফেরার অপেক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।
নেইমার জুনিয়র। একসময় ব্রাজিলের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন। এরপর সময় ঘুরেছে, দেহের ওপর চোটের ছায়া পড়েছে বারবার। সৌদি অধ্যায়ের ধূসর ব্যর্থতার পর তিনি ফিরেছেন ঘরে সান্তোসে। আর সেই ফেরার পর তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেন পুরনো নেইমারেরই প্রতিচ্ছবি।
জুভেন্টুডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। এই জয়ে জোড়া গোল করে আবারো জাতীয় দলের নজরে উঠে এসেছেন নেইমার। সাও পাওলোর এস্টাডিও ডু মোরুম্বিতে ব্রাজিল জাতীয় দলের কর্মকর্তাদের সামনে চোখ ধাঁধানো এক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ম্যাচে তার প্রথম গোলটি আসে ছয় গজ দূর থেকে, প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেঙে নিখুঁত ফিনিশে। দ্বিতীয়টি পেনাল্টি থেকে, যা কোনো সন্দেহ ছাড়াই তিনি জালে জড়ান।
এ দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী রদ্রিগো কায়েতানো, টেকনিক্যাল ম্যানেজার হুয়ান এবং ফিজিক্যাল ট্রেনার ক্রিস্টিয়ানো নুনেস। তাদের চোখের সামনেই নেইমার প্রমাণ করলেন, তিনি এখনো শেষ হননি। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার জন্য যে লড়াইটা তিনি করছেন, তারই একটা মাইলফলক ছুঁলেন এই ম্যাচে।
ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, “সবাই জানে আমার খেলার ধরন কেমন। আমি এখনো উপলব্ধ, ফিট অনুভব করছি। এখন সব নির্ভর করছে কার্লো আনচেলোত্তির সিদ্ধান্তের উপর। জয় পেয়ে এবং ভালো খেলতে পেরে খুবই খুশি।”
গত বছরের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে দীর্ঘ এক বছরের জন্য ছিটকে যান নেইমার। সেই চোটের পর অস্ত্রোপচার, পুনর্বাসন সবকিছু পার করে এখন তিনি আবার মাঠে। আর এই প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তগুলোকে তিনি রূপ দিচ্ছেন সম্ভাবনার।
সান্তোসের জয়ে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। পুরো ম্যাচ জুড়েই তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। তার পাসিং, ড্রিবলিং, শুটিং সবই ছিল ছন্দে। সেই সঙ্গে সতীর্থদের জন্য জায়গা তৈরি করাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
জাতীয় দলের দরজা আবার খোলার স্বপ্ন দেখছেন নেইমার। ১২৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭৯ গোল করা এই ফুটবলার যদি ফিট এবং ধারাবাহিক থাকেন, তাহলে আগামী বছর বিশ্বকাপের দলে থাকা তার জন্য অসম্ভব কিছু নয়। আর সান্তোসের জার্সিতে এই ধরনের পারফরম্যান্স হয়তো সেই পথেই একটি বড় ধাপ হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: