শিরোনাম
.jpg)
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে মৌসুম শেষ করল চেলসি। ছবি: রয়টার্স
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে যা ঘটেছে, তা যেন এক ফুটবল-রূপকথা! ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন, তারকায় ভরা প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইংলিশ ক্লাব চেলসির বিপক্ষে। আর সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত লাল কার্ড দেখে ১০ জনের দল হয়ে ম্যাচ শেষ করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা, স্কোরলাইনও বদলায়নি — চেলসি ৩, পিএসজি ০।
স্টেডিয়ামে গ্যালারির ৮১ হাজার দর্শকের কেউ হয়তো আনন্দে আত্মহারা, কেউ আবার হতবাক হয়ে মুখ চেপে ধরেছেন! কারণ, সেমিফাইনালে যেই পিএসজি রিয়াল মাদ্রিদের জালে ৩ গোল দিয়েছিল, সেই দলই আজ প্রথমার্ধে চেলসির কাছে যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। চেলসির জয়ের নায়ক কোল পালমার — প্রথমার্ধে জোড়া গোল করার পাশাপাশি আরেকটি গোল করান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার হোয়াও পেদ্রোকে।
ম্যাচের চিত্র বদলে যায় শুরু থেকেই। ২২ ও ৩০ মিনিটে দুই অনবদ্য বাঁ পায়ের শটে পিএসজির জালে বল জড়ান পালমার। এরপর ৩৮তম মিনিটে তাঁর ডিফেন্স চেরা পাস থেকে চোখ ধাঁধানো ফিনিশিং করেন পেদ্রো, পিএসজি গোলকিপার দোন্নারুম্মার কাঁধের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও গোল হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা কমেনি।
৮৫তম মিনিটে চেলসির মার্ক কুকুরেল্লার চুল ধরে টেনে ফেলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজির হোয়াও নেভেস। ম্যাচ শেষে সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কোচ লুইস এনরিকে ও খেলোয়াড়দের মধ্যেও — এনরিকে পর্যন্ত চেলসির খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।
পিএসজির জন্য হতাশার বড় কারণ — মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফ্রেঞ্চ লিগ ও কাপ জেতার পর ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ‘পারফেক্ট সিজন’ শেষ করার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু ফাইনালের প্রথমার্ধেই ছিটকে পড়ে সেই স্বপ্ন।
এদিকে, কোল পালমারের জন্য এই মৌসুমটা হয়ে থাকল স্বপ্নময় — ৫২ ম্যাচে ১৮ গোল, ১৪ অ্যাসিস্ট এবং ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “সবাই আমাদের নিয়ে সন্দেহ করছিল। আমরা জানতাম কী করতে হবে, সেটা করে দেখিয়েছি।” কোচ মারেসকার প্রশংসাও করেন তিনি, যিনি পালমারকে খেলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন — যার ফল আজকের মাঠে রূপ নিয়েছে এক মহাকাব্যে।
আরও পড়ুন: