পিএসজির উড়ন্ত ঝড়ের সামনে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ জুলাই, ২০২৫ ০৮:৩০

শেয়ার

পিএসজির উড়ন্ত ঝড়ের সামনে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ
গনসালো রামোস থিবো কুর্তোয়ার বিপক্ষে পিএসজির চতুর্থ গোলটি করেন। ছবি: রয়টার্স।

নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে যেন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সবকিছুই প্রস্তুত ছিল—ভক্ত, আবহ, প্রত্যাশা। কিন্তু মাঠে নেমে মাত্র ৯ মিনিটেই স্তব্ধ হয়ে গেল লস ব্লাঙ্কোসদের স্বপ্ন। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়ল লুইস এনরিকের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।


ফ্যাবিয়ান রুইজের জোড়া গোল, উসমান দেম্বেলে ও গঞ্জালো রামোসের একটি করে গোল—এই চার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে যায় জাবি আলোনসোর নতুন রিয়াল। কার্ড ও ইনজুরিতে দুর্বল রক্ষণ আর অপরিণত সমন্বয়ে এমন বড় ব্যবধানে হার দেখেছে পাঁচবারের ক্লাব বিশ্বকাপজয়ীরা।


রিয়ালের রক্ষণভাগ ভুলে ভরা: রাউল অ্যাসেনসিও ও অ্যান্টনিও রুডিগারের ব্যর্থতায় দুই গোল হজম করে রিয়াল মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে। এরপর হাকিমি-রুইজের দুরন্ত সংযোগে ২৪তম মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধে রিয়াল ২০ শতাংশ বল দখলে রাখতে পারে—চ্যাম্পিয়নদের জন্য সেটিও এক বড় ধাক্কা।


দ্বিতীয়ার্ধে দেম্বেলে ও কাভারৎস্খেলিয়াকে তুলে নিয়েও গতি হারায়নি পিএসজি। শেষ দিকে বদলি নামা গঞ্জালো রামোস চতুর্থ গোল করে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। গোল উদযাপনে স্মরণ করেন সদ্য প্রয়াত স্বদেশি দিয়োগো জোতাকে।


এই জয় পিএসজির ক্লাব ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক - প্রথমবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা।** এক মাস আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে প্যারিসকে ইউরোপের মুকুট এনে দেওয়া লুইস এনরিক এবার ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলে হবেন ইতিহাসের বিরল স্প্যানিশ কোচদের একজন, যিনি বার্সা ও পিএসজি—দুই দলকেই এই ট্রফি উপহার দেবেন।


রবিবার চূড়ান্ত লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। দুদলের মধ্যে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে তারকায় ঠাসা, ঐতিহ্য বনাম উচ্চাকাঙ্ক্ষার যুদ্ধ। একপাশে এনরিক, আরেকপাশে পুনর্গঠনের পথে পচেত্তিনোর দল—বিশ্ব ফুটবল হয়তো এই ম্যাচে পাবে বছরের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ক্লাব ফাইনাল।