শিরোনাম
.jpg)
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বহু সাফল্য থাকলেও ক্লাব বিশ্বকাপের এই জয়টি থিয়াগো সিলভার জন্য ছিল বিশেষ কিছু। বয়স ৪০ পার হলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রক্ষণভাগে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আর তার দল ফ্লুমিনেন্স ইউরোপের পরাশক্তি ইন্টার মিলানকে হারিয়ে দিয়েছে ২-০ গোলে। এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স আপ ইন্টার মিলানকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে। বলের দখলে ইন্টার ছিল যোজন যোজন এগিয়ে—ম্যাচের ৬৯ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। তবে গোলের দিক থেকে কার্যকারিতার দিকেই বাজিমাত করেছে ফ্লুমিনেসি। দুই দলই গোলমুখে চারটি করে শট নেয়, তবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি কাজে লাগায় দুটি।
ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় ইন্টার। তৃতীয় মিনিটেই জন আরিয়াসের দুর্দান্ত ক্রসে খুব কাছ থেকে হেডে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হের্মান কানো। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তরুণ এহকুলেস, নিশ্চিত করেন দলের জয়।
এই ম্যাচেও ফ্লুমিনেন্সির ডিফেন্স ছিল দুর্দান্ত। থিয়াগো সিলভার সঙ্গে রক্ষণ সামলেছেন অভিজ্ঞ গোলকিপার ফাবিও। বয়স ৪৪ হলেও গোলপোস্টে ছিলেন বরাবরের মতো আস্থার প্রতীক। পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ফ্লুমিনেসি গোল খেয়েছে মাত্র দুটি। এই ম্যাচেও সিলভা বারবার কাটিয়েছেন ইন্টারের আক্রমণ।
আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড কানো এবং তরুণ এহকুলেস গোল করলেও দলের সেরা পারফরমার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন কলম্বিয়ান উইঙ্গার জন আরিয়াস। গোল বানানো, ড্রিবলিং ও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার কাজে বারবার অবদান রেখেছেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মনে করা হচ্ছে তাকে।
নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানকে হারিয়ে যেন বাড়তি আনন্দ পেয়েছেন থিয়াগো সিলভা। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, “মিলানের কথা মাথায় রেখেই খেলছিলাম। আমি নিশ্চিত, এসি মিলান সমর্থকরা এই জয় উপভোগ করবেন। ইন্টারকে হারিয়ে তাদের হাসিমুখ দেখতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ আনন্দের।”
ফ্লুমিনেসির সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কোচ হেনাতো গাউচোর। অষ্টমবারের মতো ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়ে মাত্র তিন মাসেই গড়ে তুলেছেন সংগঠিত দল। ম্যাচ শেষে তিনি ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, “সময় কম ছিল, কিন্তু খেলোয়াড়রা খুব দ্রুত পরিকল্পনা বুঝে নিয়েছে। আমি তাদের বোঝাতে পেরেছি যে, এই কৌশল কার্যকর হবে।”
ফ্লুমিনেন্সির মতো চমক দিয়েছে সৌদি আরবের আল হিলালও। দিনের অন্য ম্যাচে তারা ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে। এখন দুই চমকজাগানিয়া ক্লাব—ফ্লুমিনেন্সি ও আল হিলাল মুখোমুখি হবে কোয়ার্টার-ফাইনালে। নিশ্চিতভাবেই ব্রাজিল অথবা সৌদি আরবের একটি দল এবার খেলবে সেমি-ফাইনালে।
আরও পড়ুন: