শিরোনাম
.jpg)
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা কোচ পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত।
ফুটবলারদের ক্লান্তি, শ্রান্তি আর শারীরিক ধকল নিয়ে যেমন শঙ্কা, তেমনি ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে করা সমালোচকদের উদ্দেশেও ছুড়ে দিলেন তির্যক মন্তব্য—দুটি দৃষ্টিভঙ্গিই মিলিয়ে মন্তব্য করলেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। মৌসুম শেষে যখন ফুটবলারদের বিশ্রামের সময়, তখনই আয়োজিত হচ্ছে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরের ক্লাব বিশ্বকাপ।
এই অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা ফুটবলারদের জন্য চোট ও মানসিক অবসাদ ডেকে আনতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে, যার মধ্যে রয়েছেন গুয়ার্দিওলাও। তবে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে না পারা দলগুলোর ঈর্ষা থেকেই অনেকে সমালোচনা করছে বলেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন তিনি।
গার্দিওলা বলেন, “এই টুর্নামেন্ট আমাদের কী প্রভাব ফেলবে, সেটা পুরোপুরি বোঝা যাবে মৌসুম কিছুটা এগোনোর পর। হয়তো ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে আমরা বুঝতে পারব ক্লান্তি আমাদের কেমন ভুগিয়েছে।” তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, “ফুটবলাররা তো আগেও মৌসুম শেষে বিশ্বকাপ বা ইউরো খেলেছে। এটা একদম নতুন কিছু নয়। মানসিকভাবে বিশ্রাম নেওয়াটাই বরং গুরুত্বপূর্ণ।”
ফুটবলারদের চাপের প্রসঙ্গে ক্লপের ‘জঘন্য আইডিয়া’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে গার্দিওলা সরাসরি তা উড়িয়ে দেননি, তবে বলেন, “ওর কথা আমি বুঝি, শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এখানে যারা খেলছে না, তারাই বেশি সমালোচনা করছে। কারণ, তারা যোগ্য হয়নি।”
প্রস্তুতির সময় কম পাওয়াকে ‘আদর্শ নয়’ বলে মেনে নিয়েও গার্দিওলা জানিয়ে দেন, বাস্তবতাও তাকে গ্রহণ করতেই হবে। তার মতে, ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমেই ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে এবং যখন এই টুর্নামেন্টে এসেছেন, তখন এর যথাসম্ভব সর্বোচ্চ ফল পাওয়ারই চেষ্টা থাকবে। “দুই মাসের প্রি-সিজন থাকলে ভালো লাগত? নিশ্চয়ই। তবে আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি পরিশ্রম আর সাফল্যের জন্য। এখন এখানে এসেই পিছিয়ে পড়লে চলবে না,”—এভাবেই শেষ করেন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা।
আরও পড়ুন: