
বদলি নেমে ১৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন জামাল মুসিয়ালা (বাঁয়ে)। ছবি: রয়টার্স
বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের গ্রহের অন্যতম শক্তিশালী দল বায়ার্ন মিউনিখ, অন্যদিকে অনেকটা পেশাদার ফুটবলের অতিথি হিসেবে থাকা অকল্যান্ড সিটি। এমন অসম লড়াইয়ে ফলাফলে চমক থাকবে না, সেটাই তো স্বাভাবিক! তবে ১০ গোলের বিধ্বংসী জয়ে বায়ার্ন যেন সেই স্বাভাবিকতাকেও নিয়ে গেল আরেক উচ্চতায়।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটির টিকিউএল স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সূচনায় অকল্যান্ডকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিল জার্মান জায়ান্টরা। গোল উৎসবে হ্যাটট্রিক করলেন বদলি নামা জামাল মুসিয়ালা। কিংসলে কোমান, টমাস মুলার ও মাইকেল ওলিসে জোড়া গোল করেছেন; একটি করে গোল সাশা বুয়ে ও মুলারের পাসে করেন ওলিসে।
অকল্যান্ড সিটির গল্পটাই যেন রূপকথার, যেখানে ফুটবল নয়, জীবিকা মূল পেশা। কেউ শিক্ষক, কেউ ছাত্র, কেউ আবার রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। কোচ ইভান ভিসেলিচের মতো অনেকে আবার ছুটি নিয়ে এসেছেন এই টুর্নামেন্টে। এই দলে পেশাদারিত্বের ঘাটতি স্পষ্ট, সেই সুযোগেই বায়ার্ন রচনা করল একপাক্ষিক গোল-বন্যা।
ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই গোল উৎসবের শুরু। কর্নার থেকে হেড-পাসে জোনাথন টাহ, আর সেই বলেই কোমানের হেডে বায়ার্নের প্রথম গোল। এরপর মাত্র ১৫ মিনিটে তিন গোল - বুয়ে, ওলিসে ও কোমান একের পর এক বল জড়ান জালে।
প্রথমার্ধ শেষেই স্কোরলাইন ৬-০! দ্বিতীয়ার্ধে মুসিয়ালার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, যার একটি আসে পেনাল্টি থেকে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল অকল্যান্ডের আঙ্গুসের শট, যা সরাসরি গোলরক্ষকের গ্লাভসে গিয়ে ঠেকে, তবু করতালিতে মুখরিত গ্যালারি।
এই ম্যাচে সবশেষে গোল করেন টমাস মুলার, যিনি নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ক্লাব বিশ্বকাপে ৩৫ বছর বয়সে দুই গোল করলেন। তাকে নিয়ে গর্বিত বায়ার্নের এই দাপুটে পারফরম্যান্সে যেন ঘোষণা মিলল - এবারও বিশ্বসেরা হতে এসেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
পার্ট-টাইমারদের বিপক্ষে এই ফল খুব একটা মাপকাঠি না হলেও, মুসিয়ালার ফর্ম আর মুলারের বিদায়ী মুহূর্ত - দুটোই বায়ার্নের জন্য বড় প্রাপ্তি। আগামী ম্যাচগুলোয় এখন আসল পরীক্ষায় নামবে টমাস টুখেলের দল।
আরও পড়ুন: