
আর্জেন্টিনার হয়ে দারুণ ছন্দে আছেন থিয়াগো আলমাদা। ছবি: রয়টার্স
আর্জেন্টিনার জার্সিতে ক্রমেই নিজের জাত চিনিয়ে চলেছেন থিয়াগো আলমাদা। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে যখন হারের পথে ছিল দল, তখন দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে রক্ষা করেন এই ২৪ বছর বয়সী উইঙ্গার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়, আর আলমাদার অসাধারণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে কলম্বিয়া। প্রথমার্ধে লুইস দিয়াসের চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় তারা। গোলটি শোধ করতে মরিয়া আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। এমন অবস্থায় ৭০তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, দল পড়ে যায় ১০ জনের বিপাকে। এরপরই ৭৮তম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় লিওনেল মেসিকেও। মনে হচ্ছিল, হার এড়ানো কঠিন হবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
কিন্তু ৮১তম মিনিটে সব হিসাব উল্টে দেন থিয়াগো আলমাদা। সতীর্থের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিচু ডান পায়ের শটে বল পাঠান জালে। তাঁর এই গোল দলকে এনে দেয় এক মূল্যবান পয়েন্ট। শুধু এই ম্যাচেই নয়, সাম্প্রতিক চার ম্যাচে আলমাদা গোল ও অ্যাসিস্টে করেছেন সরাসরি অবদান—প্রতিটিতে দুটি করে।
গত মার্চে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়কও ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে ডি-বক্সের বাইরে থেকে করা তার গোল ছিল চোখ ধাঁধানো। এরপর ব্রাজিলের বিপক্ষে বড় জয়ে একটি অ্যাসিস্ট, চিলির বিপক্ষে হুলিয়ান আলভারেসের একমাত্র গোলেও অ্যাসিস্ট এবং এবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে সমতা ফেরানো গোল—সব মিলিয়ে আলমাদা এখন আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের নির্ভরযোগ্য এক অস্ত্র হয়ে উঠছেন।
ম্যাচ শেষে স্কালোনি বলেন, “সে দায়িত্ব নেয়, চেষ্টা করে, আর একজন ফুটবলারের এটিই সেরা দিক—বল চাইতে ভয় না পাওয়া। সে আমাদের জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমাদের দলে এমন আরও কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা যে কোনো সময় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, এটাই আমাদের শক্তি।”
এর আগেই বাছাইপর্বে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৬ ম্যাচে ১১ জয় ও ২ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট এখন ৩৫, লাতিন আমেরিকার শীর্ষে অবস্থান করছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে স্কালোনির ভাবনায় এখন ভবিষ্যতের আর্জেন্টিনা, যেখানে থিয়াগো আলমাদা হয়ে উঠছেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরও পড়ুন: