দুটি ম্যাচ খেলতে অক্টোবরে থাইল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৩

আপডেট: ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২৯

শেয়ার

দুটি ম্যাচ খেলতে অক্টোবরে থাইল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলতে যাচ্ছে আগামী মার্চে। সেই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ঋতুপর্ণা চাকমারা। এর অংশ হিসেবে অক্টোবরে নারী ফিফা উইন্ডোতে থাইল্যান্ডে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ ও ২৮ অক্টোবর।

 

ফেডারেশন ভবনে আজ (২৬ আগস্ট)  সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, “অক্টোবর নারী ফিফা উইন্ডোতে আমরা থাইল্যান্ডে দুটি ম্যাচ খেলব, বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। নভেম্বর উইন্ডোতে ঢাকায় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করছি। এজন্য ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

 

থাইল্যান্ড সফর শেষে বাংলাদেশ দল যাবে জাপানে। সেখানে প্রায় তিন সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প হবে, যদিও কোনো ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নেই। এরপর নভেম্বর উইন্ডোতে আরও দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুর, হংকং কিংবা মালয়েশিয়ায় ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। মার্চে অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ, আর সিনিয়র দলের সঙ্গে এই জুনিয়র খেলোয়াড়রাও অনুশীলন ও প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতে যুক্ত থাকবেন।

 

এক সময় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগ্রহী ছিল না অনেকে। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সাম্প্রতিক ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১০৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে, যা ফিফার বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে এখনও ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যোগাযোগকেই কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন কিরণ, “সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে ব্যক্তিগত যোগাযোগেই দল ঠিক হচ্ছে। আমার সঙ্গে অনেক দেশের পরিচয় আছে। প্রথমে সভাপতিদের সঙ্গে আলাপ করি, পরে তারা অফিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিতে বলে। র‌্যাংকিংয়ে প্রভাব এখনো পড়েনি, তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই পড়বে।”

 

প্রথমে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাচ্ছে প্রায় দুই সপ্তাহ। এ প্রসঙ্গে কিরণ জানান, “পিটার আসতে আসতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। তখন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করব। ক্যাম্প বাফুফে ভবনে হবে না, হোটেল বা অন্য কোথাও হতে পারে। তবে অনুশীলন ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস এরিনা কিংবা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে।”

 

এই ক্যাম্প ও এশিয়ান কাপ মিশনের জন্য কয়েক কোটি টাকার বাজেট প্রয়োজন। তবে আর্থিক বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন কিরণ। কারণ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আশ্বস্ত করেছেন, অর্থের জোগান হবে।

 

এদিকে দেশের নারী ফুটবল লিগ অনিয়মিত হলেও চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে নতুন মৌসুম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ক্লাবগুলোকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিরণ জানান, একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানও নারী দল গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বিষয়টি শিগগিরই প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।

 

তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বাফুফে কমিটির কার্যক্রম শুরুর প্রায় দশ মাস পার হলেও এখনো নারী ফুটবল কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এককভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরণই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তিনি প্রায়ই অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরছেন।