শিরোনাম

(বাঁ থেকে) অলিভিয়া স্মিথ, লিজবেথ ওভায়ে ও নাওমি গিরমা। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরে মেয়েদের ক্লাব ফুটবলে দলবদলের বাজারে সৃষ্টি হল নতুন ইতিহাস। ১৮ বছর ধরে অটল থাকা সর্বোচ্চ খরচের রেকর্ড এবার আট মাস না পেরোতেই ভাঙল তিনবার।
শুরুটা হয় জানুয়ারিতে। সান ডিয়েগো ওয়েভ থেকে চেলসিতে নাম লেখান নাওমি গিরমা। ইতিহাসের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে দলবদলে ১০ লাখ ডলারের মাইলফলক ছাড়ান যুক্তরাষ্ট্রের এই সেন্টার ব্যাক। শেষমেশ ১১ লাখ ডলারে (১৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা) ক্লাবটি তাকে কিনে নেয়।
দুই মাসের মধ্যেই রেকর্ড ভেঙে যায় আর্সেনালের হাতে। লিভারপুল থেকে ১৩ লাখ ডলারে (১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা) কানাডার ফরওয়ার্ড অলিভিয়া স্মিথকে আনে গানাররা। আর সেই রেকর্ডও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
কিছু দিন আগে আবারও ইতিহাস তৈরি হলো। ১৫ লাখ ডলারে (১৮ কোটি ২৩ লাখ) লিজবেথ ওভায়েকে তিগরেস ইউএএনএল থেকে অরল্যান্ডো প্রাইড কেনে। মেক্সিকান উইঙ্গার ওভায়ে এখন মেয়েদের দলবদলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়।
মেয়েদের ক্লাব ফুটবলে দলবদলের গল্প শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার মিলেনে দমিঙ্গেসকে রায়ো ভায়েকানোতে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ের বিনিময় মূল্য ছিল মাত্র ২ লাখ ৬৮ হাজার ডলার (৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা)। তবে দমিঙ্গেস খেলতে পারেননি, কারণ তখন স্প্যানিশ লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া হতো না।
সেই ১৮ বছরের রেকর্ড ২০২০ সালে ভেঙেছিল ডেনমার্কের পেরনিলে হার্ডারের হাত ধরে। তারপর থেকে মাত্র পাঁচ বছরে ছয়বার রেকর্ড ভাঙা এবং খেলোয়াড়দের দাম চারগুণ বেড়ে গেছে।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ক্রিস্টিনা ফিলিপু বলেন, “মেয়েদের ফুটবলের দলবদলে এখন রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটছে। ক্লাবগুলো এখন নারী খেলোয়াড়দের ব্যবসা হিসেবে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। ব্র্যান্ডগুলো নারী দর্শকদের দিকে মন দিয়েছে, ফলে বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।”
তবে সব ক্লাবই এত খরচ করতে পারছে না। শুধুমাত্র কয়েকটি বড় ক্লাবই বিশ্ব রেকর্ড গড়ছে। চেলসিই তিনবার, আর বার্সেলোনা, আর্সেনাল, অরল্যান্ডো প্রাইড এবং বে এফসি একবার করে।
ড. ফিলিপু আরও বলেন, “ভবিষ্যতে সাত অঙ্কের ডলার, ইউরো বা পাউন্ডের দলবদল ফি নিয়মিত হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু ক্লাব হয়তো আরও বেশি ব্যয় করবে না, কারণ তাদের নিজস্ব একাডেমি এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে।”
আরও পড়ুন: