শিরোনাম
.jpg)
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ খেলতে ভুটান যাচ্ছেন আফঈদা-স্বপ্না। ছবি:সংগৃহীত।
দূর হিমালয়ের দেশে ভুটানের ফুটবল মাঠে এবার শোনা যাবে বাংলাদেশের নারীকণ্ঠের উদ্দাম জয়ধ্বনি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও রক্ষণভাগের অদম্য দেয়াল আফঈদা খান্দকার, আর মাঝমাঠের ছন্দনির্মাতা স্বপ্না রানী পৌঁছে গেছেন রয়্যাল থিম্পু কলেজ উইমেন্স ফুটবল ক্লাবের (আরটিসি ডব্লিউএফসি) শিবিরে। লক্ষ্য, ২০২৫ এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বে ভুটানের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে এশিয়ার সেরাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া।
যদিও আসরের মূল পর্ব বসবে লাওসে, ভুটানি ক্লাবের এই যাত্রা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাংলাদেশি ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরেকটি রঙিন অধ্যায় যোগ করবে। চলতি মাসের শুরুতে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলকে পরবর্তী ধাপে তুলতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন আফঈদা ও স্বপ্না, ঠিক সেই ছন্দ নিয়ে তারা এবার নামবেন ভুটানি ক্লাবের জার্সিতে। এর আগেও জুন-জুলাইয়ে মায়ানমারে সিনিয়র জাতীয় দলের হয়ে একই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এই দুই তারকা।
আরটিসি দলে আফঈদা-স্বপ্নার সঙ্গে যুক্ত হবেন আরও তিন বাংলাদেশি, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা। যারা ইতোমধ্যেই ভুটান নারী জাতীয় লিগে ক্লাবটির হয়ে অভিষেক সেরে ফেলেছেন। পাঁচ বাংলাদেশি ফুটবলারের সমন্বয়ে গড়া এই ‘লাল-সবুজ বাহিনী’ তাই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভুটানের হয়ে লড়লেও মনে হবে যেন বাংলাদেশেরই প্রতিনিধি দল এশিয়া জয় করতে নেমেছে।
ডি গ্রুপে থাকা আরটিসি উইমেনের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম ম্যাচ ২৫ আগস্ট, প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপের কাওহসিয়ুং অ্যাটাকার্স এফসি। এরপর ২৮ আগস্ট মোকাবিলা উত্তর কোরিয়ার নেগোহিয়াং উইমেন্স এফসি এবং ৩১ আগস্ট শেষ গ্রুপ ম্যাচে লড়াই লাওসের মাস্টার এফসির সঙ্গে। গত মৌসুমে দ্বিতীয় মহাদেশীয় আসরের অভিজ্ঞতা নেওয়া এই দলটি এবার আরও শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে নামছে।
উল্লেখ্য, গত মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা ও সাবিনা খাতুন খেলেছিলেন আরটিসির হয়ে। তবে এবার মনিকা ও সাবিনা খেলছেন পারো উইমেনের হয়ে, আর মারিয়া খেলছেন থিম্পু সিটি উইমেনে।
আরও পড়ুন: