কখনো পাঙাস মাছ দেওয়া হয় না–অনূর্ধ্ব-১৭ অধিনায়ক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪৮

শেয়ার

কখনো পাঙাস মাছ দেওয়া হয় না–অনূর্ধ্ব-১৭ অধিনায়ক
সংবাদ সম্মেলনে অনূর্ধ্ব-১৭ অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল নিয়ে আলোচনায় প্রায়শই উঠে আসে মাঠের বাইরের নানা প্রসঙ্গ। এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সংবাদ সম্মেলনে ফুটবলের বদলে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল একেবারেই ভিন্ন বিষয়, পাঙাস মাছ।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে উঠে আসে নারী ফুটবল দলের মেন্যু নিয়ে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে নারী ফুটবলের প্রধান স্পনসর হিসেবে আছে ঢাকা ব্যাংক। তাদের আর্থিক সহায়তা, মেয়েদের থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে হঠাৎই প্রসঙ্গ আসে এত অর্থ সহায়তা থাকলেও নাকি ক্যাম্পে মেয়েদের পাঙাস মাছ পরিবেশন করা হয়।

 

প্রশ্ন শুনেই কিছুটা বিরক্ত স্বরে উত্তর দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য এবং নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার। তিনি সরাসরি বলেন, “অর্পিতা এখানে বসা আছে, জিজ্ঞেস করুন ওরা পাঙাস মাছ খায় নাকি।” অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস তখন সংক্ষেপে জবাব দেন, “না, কখনো পাঙাস মাছ দেওয়া হয় না।”

 

এ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। গত সোমবারও দুইটি এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠা মেয়েদের থাকা-খাওয়া, ট্রেনিংসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাহফুজা আক্তার একই দাবি করেছিলেন। সেসময় তিনি বলেছিলেন, “অনেকেই বলেন, আমরা নাকি মেয়েদের পাঙাস মাছ খাওয়াই। তবে পরিষ্কার বলছি, মেয়েদের পাতে কখনো পাঙাস দিই না।”

 

এই প্রসঙ্গ উঠে আসে আসলে নারী ফুটবলের সামগ্রিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্য থেকে। স্পনসরের বড় অঙ্কের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা, ক্যাম্পে থাকা মেয়েরা যথাযথ পুষ্টিকর খাবার ও পরিবেশ পাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন আগেও উঠেছে। যদিও বাফুফে পক্ষ থেকে বারবারই জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকা পেশাদার ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সাজানো হয় এবং সেখানে কম দামের বা কম পুষ্টিকর খাবারের স্থান নেই।

 

অর্পিতার এক লাইনের উত্তর যেন এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল। মাঠের লড়াইয়ের আগে সংবাদ সম্মেলনের পরিবেশও মুহূর্তে গরম হয়ে ওঠে পাঙাস প্রসঙ্গে। সাংবাদিকরা চুক্তির মেয়াদ ও অর্থের পরিমাণ জানতে চাইলেও মূল আলোচনায় ঢুকে পড়ে খাবার তালিকার বিষয়টি।

 

ফেডারেশন ও দলের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ধরনের অভিযোগ মাঠের বাইরের মনোযোগ সরিয়ে নেয়। অন্যদিকে সমালোচকদের মতে, পুষ্টিকর খাবার পাওয়া খেলোয়াড়দের অধিকার, তাই যেকোনো অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত।