এশিয়ান কাপে সাগরিকাদের সঙ্গী কারা, বিশ্বকাপের সমীকরণ কেমন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৭

আপডেট: ১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৭

শেয়ার

এশিয়ান কাপে সাগরিকাদের সঙ্গী কারা, বিশ্বকাপের সমীকরণ কেমন
সাগরিকাদের এশিয়ান কাপে সঙ্গী কারা, বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত।

ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বাজার পর বাংলাদেশের মেয়েদের চোখেমুখে কিছুটা হতাশার ছাপ। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের পর এমনটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কিছু ঘণ্টা পেরোতেই সেই মলিন মুখে ফুটে উঠল স্বস্তির হাসি কারণ, তারা পেরেছে ইতিহাস গড়তে।

 

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে লড়াই করে শীর্ষ তিন রানার্সআপের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আফঈদা খন্দকার ও মোসাম্মত সাগরিকারা। ফলে ২০২৬ সালের এশিয়ান কাপে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই বয়সভিত্তিক দল কখনো মূল পর্বে পৌঁছতে পারেনি।

 

লাওসে আয়োজিত গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস ও পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। ২ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বাছাইপর্বে মোট ৩৩টি দেশ আট গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ১১টি জায়গার জন্য।

 

রবিবার শেষ হওয়া সব ম্যাচের পর চূড়ান্ত হলো মূল পর্বের দলগুলো। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম ও উত্তর কোরিয়া অর্থাৎ গ্রুপ সেরারা। রানার্সআপদের মধ্যে পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানে সেরা তিন দল হলো জর্ডান, বাংলাদেশ ও চাইনিজ তাইপে।

 

বাংলাদেশের এই সাফল্যের তাৎপর্য আলাদা। বাকি ১০টি দলই আগেও বহুবার এএফসির যুব টুর্নামেন্টে খেলেছে। কিন্তু এই প্রথমবার বাছাইপর্ব উতরে মূল পর্বে জায়গা করে নিল বাংলাদেশের মেয়েরা।

 

২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থাইল্যান্ডে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ, শেষ হবে ১৮ এপ্রিল। ১২ দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। বাংলাদেশ থাকবে পট ৪-এ, জর্ডান ও ভারতের সঙ্গে। ফলে এই দুই দেশের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়বে না তারা। গ্রুপ পর্ব শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও সেরা দুই তৃতীয় দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে।

 

এশিয়ান কাপের এই আসর কেবল মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা না এখান থেকে রয়েছে বিশ্বকাপের টিকিটের হাতছানি। ২০২৬ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপ হবে পোল্যান্ডে, যেখানে প্রথমবার ২৪টি দল অংশ নেবে। এশিয়া থেকে সুযোগ পাবে চারটি দল, যা আসবে সরাসরি এশিয়ান কাপে সেমিফাইনাল খেলা চার দেশের মধ্যে থেকে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ যদি সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারে, বিশ্বকাপের মঞ্চও অপেক্ষা করছে।

 

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য এটি কেবল একটি টুর্নামেন্ট নয়, বরং ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।