শিরোনাম

ফুটবলের জাদু দেখিয়ে বর্ষসেরা হলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলের ওয়েসিস হলে আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো সিটি গ্রুপ বর্ষসেরা প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪। আলো–ঝলমলে এই আয়োজনে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বছরের শীর্ষ সম্মাননা। আর এবারের আসরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের মঞ্চে উঠলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা।
এটি ছিল ঋতুপর্ণার জন্য এক বিশেষ সন্ধ্যা। কারণ, তিনি শুধু বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদই নন, পাঠকের ভোটে নির্বাচিত বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের স্বীকৃতিও পেয়েছেন একই দিনে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের দাবার কিংবদন্তি রানি হামিদ। সবার শ্রদ্ধার পাত্র এই প্রবীণ ক্রীড়াবিদ মঞ্চে উঠে ঘোষণা করলেন, “প্রথম আলো বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা চাকমা।” মুহূর্তেই হলজুড়ে ওঠে করতালির ঢেউ।
ঋতুপর্ণা মঞ্চে এসে বললেন, “এই পুরস্কার আমার জন্য বড় এক অর্জন। পরিবার, কোচ, টিমমেট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ফুটবলে জাদু বলে কিছু নেই, এটা কেবল কঠোর পরিশ্রমের ফল।” নিজের সাফল্যকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে তিনি যোগ করলেন, “আমরা শুধু এশিয়ায় নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চেও নিয়ে যেতে চাই।”
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, যিনি কাব্যিক ভঙ্গিতে বললেন, “কান পাতলেই বাংলার আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয় ঋতুপর্ণা চাকমা!”
এবারের ক্রীড়া পুরস্কারের রানার-আপ হয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
নারী ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন। উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন তরুণ দাবাড়ু মনন রেজা।
২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এই বর্ষসেরা পুরস্কারের প্রথম প্রাপক ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তারপর থেকে প্রতিবছরই দেশের সেরা ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানানো হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে সিটি গ্রুপ এই পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষক।
আজকের এই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের নানা প্রজন্মের তারকা, কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন খেলার অনুরাগীরা। মঞ্চে একে একে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, আর প্রতিটি ঘোষণা যেন নতুন করে অনুপ্রাণিত করল উপস্থিত সবাইকে।
ঋতুপর্ণার জন্য এই স্বীকৃতি শুধু ব্যক্তিগত গৌরব নয়, বরং বাংলাদেশের নারী ফুটবলেরও বড় সাফল্য। তার অর্জন প্রমাণ করছে নিয়মিত পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বাংলাদেশের পতাকা উঁচুতে ওড়ানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: