অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশের মেয়েরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২১

শেয়ার

অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশের মেয়েরা
অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের গ্রুপ ভাগ ঘোষণা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। ২৭ দলের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান 'এইচ' গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে চাইনিজ তাইপে ও স্বাগতিক জর্ডান। কঠিন প্রতিপক্ষ আর বিদেশের মাটিতে খেলার বাস্তবতা দুই মিলে চ্যালেঞ্জটা এবার বেশ বড়ই হবে বাংলাদেশের কিশোরীদের জন্য।

 

আগামী ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এইচ গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে জর্ডানে। সেখানে তিন দলের লড়াই শেষে কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই সুযোগ পাবে আগামী বছরের মূল পর্বে খেলতে। মূল প্রতিযোগিতা বসবে চীনে, ৩০ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত।

 

বাছাই পর্বে ‘এ’ থেকে ‘সি’ গ্রুপে চারটি করে দল থাকলেও ‘ডি’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত গ্রুপগুলো তিনটি করে দল নিয়ে গঠিত। ফলে বাংলাদেশের সামনে কেবল দুটি ম্যাচ তাতেই নিশ্চিত করতে হবে গ্রুপ সেরা হয়ে মূল পর্বে যাওয়ার টিকিট।

 

তবে গ্রুপ ভাগে বাংলাদেশের নাম ছিল এক নম্বর পটে। কারণ ২০১৭ ও ২০১৯ সালে টানা দু’বার মূল পর্বে খেলেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল। সেই ধারাবাহিকতা মাথায় রেখেই এবারের বাছাইয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে দলগুলোকে পটে সাজিয়েছে এএফসি।

 

জর্ডানের মাটিতে খেলা হলেও পরিবেশ একেবারে অচেনা নয় বাংলাদেশ দলের জন্য। চলতি বছরই মে মাসে নারী জাতীয় দল সেখানে গিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। সেই অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও সহায়তা করতে পারে অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে।

 

বাছাই পর্বে সুযোগ পেয়েছে মোট ২৭টি দেশ। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলই উঠবে চূড়ান্ত পর্বে। সেখানে ইতোমধ্যে স্বাগতিক চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া জায়গা নিশ্চিত করে রেখেছে। ফলে বাছাই থেকে বাকি চার দল মূল পর্বে যোগ দেবে।

 

এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মেয়েরা বরাবরই প্রতিশ্রুতিশীল পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনূর্ধ্ব-২০ দল যেমন লাওসকে হারিয়ে শুরু করেছে দুর্দান্তভাবে, অনূর্ধ্ব-১৭ দলও চাইবে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।

 

তবে এইচ গ্রুপে চাইনিজ তাইপে ও জর্ডান দুই দলই শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ। স্বাগতিক হিসেবে জর্ডান পাবে বাড়তি সুবিধাও। সব মিলিয়ে কোচিং স্টাফের জন্যও এটা কৌশলগতভাবে বড় পরীক্ষা হয়ে উঠবে।