শিরোনাম

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নজরকাড়া উত্থান বাংলাদেশের মেয়েদের। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র এক মাস আগেই মিয়ানমারে ঘটে গিয়েছিল এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই ও ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তিন ম্যাচে তিন জয় তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন ও স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
এই দুর্দান্ত অর্জনেরই স্বীকৃতি মিলেছে এবার ফিফার হালনাগাদকৃত নারী দলের র্যাঙ্কিংয়ে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, গত মাসের তুলনায় ২৪ ধাপ এগিয়ে ১০৪ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। শুধু তা–ই নয়, এই র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা দল হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছে টাইগ্রেসরা।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার মতে, বাংলাদেশ দল সর্বোচ্চ ৮০.৫১ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছে সর্বশেষ সময়কালে। আগের ১০৯৯.৩৬ থেকে বেড়ে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১১৭৯.৮৭। এত বড় অগ্রগতি আগে কখনও দেখা যায়নি লাল-সবুজদের ইতিহাসে।
যদিও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং ছিল ১০০তম, যা এসেছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। এছাড়া ২০১৩ সালের আগস্ট ও ২০১৭ সালের মার্চে ১০৩তম অবস্থানেও ছিল দলটি। ২০১৮ সালের মার্চে পা রেখেছিল ১০২ নম্বরে।
তবে এবারকার অগ্রগতি স্পষ্টই এক নতুন বার্তা দিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের ফুটবল শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে প্রস্তুত।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে আছে ভারত (৬৩তম) ও নেপাল (৮৭তম)। তবে দুই দেশের সঙ্গেই ব্যবধান দ্রুত কমিয়ে আনছে বাংলাদেশ। ভারতের উন্নতি সাত ধাপ, নেপালের ১৩ ধাপ, কিন্তু বাংলাদেশের এক লাফেই ২৪ ধাপ!
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এবার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন। তারা পেছনে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেলেও নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে স্প্যানিশ মেয়েরা। তিন ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে সুইডেন, এক ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে ইংল্যান্ড, আর জার্মানি নেমে গেছে পঞ্চম স্থানে।
অন্যদিকে, সদ্য কোপা আমেরিকা জেতা ব্রাজিল তিন ধাপ পিছিয়ে এখন সপ্তম। তবে আর্জেন্টিনা একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দুই ধাপ এগিয়ে এখন তারা ৩০ নম্বরে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এই উত্থান শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং এটি এক নবজাগরণের বার্তা। জাতীয় দলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে হয়তো এখন আরও মেয়েরা ফুটবলের পথে হাঁটতে উৎসাহী হবে। সামনে কঠিন পথ, কিন্তু পথচলা যে শুরু হয়ে গেছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই।
আরও পড়ুন: