শিরোনাম
.jpg)
মার্তার মহারণ, লোরেনার সেভ, চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ছবি: সংগৃহীত।
কোপা আমেরিকা ফেমেনিনার ২০২৫ আসরের ফাইনালে ঘটে গেল এক রূপকথার গল্প। নাটক, উত্তেজনা, আবেগ আর কিংবদন্তির প্রত্যাবর্তন সব মিলিয়ে এক বিস্ময়কর রাতের সাক্ষী হলো ইকুয়েডরের কুইটো। যেখানে ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল করে, অতিরিক্ত সময়ে ফের এগিয়ে গিয়ে, আর শেষে টাইব্রেকারে জিতে, লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করল ব্রাজিলের মেয়েরা।
৩৯ বছর বয়সী মার্তা এই ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন ৮২ মিনিটে। তখন পর্যন্ত ব্রাজিল পিছিয়ে ৩–২ গোলে। ম্যাচের যোগ করা ষষ্ঠ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে সমতা ফেরান মার্তা। অতিরিক্ত সময়ে ফের গোল করে ৪–৩ ব্যবধানে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। তবে ১১৫ মিনিটে লেইসি সান্তোসের গোলে ফের সমতা ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে।
ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া, লিন্ডা কাইসেদোর গোলে (২৫ মিনিট)। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে অ্যাঞ্জেলিনা সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে আত্মঘাতী গোলে আবার এগিয়ে যায় কলম্বিয়া (৬৯ মিনিট)। এরপর গুতিয়েরেসের গোলে (৮০ মিনিট) ফের সমতা। কিন্তু মায়রা রামিরেজ ৮৮ মিনিটে গোল করে ফের কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন। শেষরক্ষা হয়নি। মার্তার গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
পেনাল্টি শুটআউটে দুই দলই শুরুতে দুটি করে শট মিস করে। এরপর ষষ্ঠ শটে লাউনি গোল করলেও কলম্বিয়ার কারাভালি ব্যর্থ হলে ব্রাজিলের উল্লাসে ভেসে যায় মাঠ।
মার্তা পেনাল্টিতে ব্যর্থ হলেও নায়িকা হয়ে ওঠেন আরেকজন গোলকিপার লোরেনা দা সিলভা। টাইব্রেকারে দুটি সেভ করে নিশ্চিত করেন ব্রাজিলের টানা পঞ্চম ও মোট নবম কোপা আমেরিকা শিরোপা।
ম্যাচ শেষে আবেগঘন বার্তায় মার্তা জানালেন, এটিই তাঁর শেষ কোপা আমেরিকা, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছিলাম, যেন হারটা এতটা কঠিন না হয়। মেয়েরা আমাকে সাহস দিয়েছে। এটা আমার জন্য আশীর্বাদ।’
ব্রাজিলের হয়ে গুতিয়েরেস হন যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬ গোল), পারাগুয়ের মার্টিনেজের সঙ্গে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মার্তা।
আরও পড়ুন: