শিরোনাম
.jpg)
মায়ানমারের বিপক্ষে জয়ের পর উল্লাসে মাতোয়ারা বাঘিনীরা। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুপর্ণা চাকমার দুর্দান্ত জোড়া গোলে র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার পথে বড় এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বুধবার ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এক কঠিন লড়াইয়ে অবিশ্বাস্য এই জয় পেয়েছে পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে ঋতুপর্ণার প্রথম গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও তার ফ্রি কিক প্রথমে প্রতিপক্ষের রক্ষণে বাধা পায়, কিন্তু ফিরতি শটে নিচু করে মারা শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে একই ছন্দ ধরে রেখে ৭২তম মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণা দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন বাম পায়ের এক নিখুঁত শটে।
শেষ দিকে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মিয়ানমার। ৮৮তম মিনিটে উইন উইনের গোলে ব্যবধান কমালেও শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে রাখেন রুপনা চাকমারা।
এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। তাদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয়ও ছিল আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মূল অনুপ্রেরণা। অন্যদিকে, তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারানো মিয়ানমারের পয়েন্ট ৩।
আগামী শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু না ঘটলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেবে স্বপ্না, মারিয়া, রুপনাদের বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল রক্ষণ ও আক্রমণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেললেও বাংলাদেশ নারী দলের মনোবল ও কৌশল ছিল পরিষ্কার। গোলরক্ষক রুপনা চাকমা যেমন শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ সেভ দিয়ে দলকে ভরসা দেন, তেমনি রক্ষণভাগে শামসুন্নাহার সিনিয়র ও আফঈদা ছিলেন দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো।
দুর্দান্ত এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এখন আর শুধু দক্ষিণ এশিয়ার সীমায় সীমাবদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তারা দেখাতে শুরু করেছে নিজেদের শক্ত অবস্থান। এখন শুধু অপেক্ষা আরও একটি জয় বা একটি ড্র’র— যা নিশ্চিত করে দিতে পারে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ।
আরও পড়ুন: