বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে সম্ভাবনাময় ও সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের তুলে আনার লক্ষ্যে আজ শনিবার শুরু হয়েছে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ–২০২৫’। মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে এক অনাড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল দেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ও রশীদ। সভাপতিত্ব করেন কর্মসূচির স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ-আল মাকসুস।
প্রথম দিনের বাছাই কার্যক্রমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলার প্রতিভাবান সাঁতারুদের মধ্য থেকে বাছাই করা হয় সম্ভাবনাময় সাঁতারু। উত্তীর্ণদের হাতে 'ইয়েস কার্ড' তুলে দেন প্রধান অতিথি।
সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কোরবোর্ড, পুল সংস্কার ও বকেয়া গ্যাস বিল ইস্যুতে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘চার কোটি টাকার গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে শীতে অনুশীলন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’
সুইমিং ফেডারেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৮টি বিভাগে ১৫টি ভেন্যুতে তিনটি ধাপে হবে এই বাছাই। প্রথম ধাপে (১০ মে-৩০ জুন) ৬৪ জেলা থেকে ৬০০ সাঁতারু নির্বাচন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে (১৫ জুলাই-২ অক্টোবর) তাদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে নির্বাচিত করা হবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে (৫-২৫ অক্টোবর) বাছাইকৃত সেরা ৫০ জন সাঁতারুকে দুই বছরের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে-২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২৭ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।
যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘সাঁতার আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদের সামনে সুযোগের দরজা খুলে যাবে। অন্যান্য ফেডারেশনকেও এ ধরনের উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করছি।’
