শিরোনাম

ছয় বছরের চুক্তিতে লিভারপুলে এলেন
আলেক্সান্ডার ইসাক। ছবি: সংগৃহীত।
লিভারপুল আবারও প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের বাজারের শিরোনামে। বায়ার লেভারকুসেন থেকে জুনে ১২৫ মিলিয়ন ইউরোতে ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে আনার পরেই তারা ইতিহাস গড়েছিল। তবে সেই রেকর্ড আড়াই মাসও স্থায়ী হলো না। উইর্টজকে ছাপিয়ে লিভারপুল এবার ভেঙে দিলো নিজেদেরই রেকর্ড, দলে টেনে নিলো সুইডিশ ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার ইসাককে।
২৫ বছর বয়সী ইসাককে পেতে প্রথমে ১২৭ মিলিয়ন ইউরো অফার করেছিল লিভারপুল, কিন্তু নিউক্যাসেল তা নাকচ করে ১৭৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি তোলে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে দুই পক্ষই কিছুটা ছাড় দেয়। তবে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ইসাক, ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা পরিষ্কারভাবে জানানোর পাশাপাশি কয়েকদিন দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেননি তিনি। চাপের মুখে অবশেষে নিউক্যাসেল বাধ্য হয় তাকে ছাড়তে। লিভারপুলের খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যা দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের দলবদলের জানালা বন্ধ হওয়ার দিনেই চুক্তি সম্পন্ন হয়। বিবিসি, স্কাই স্পোর্টস ও ইএসপিএন ফুটবলের মতো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, লিভারপুল ও ইসাকের মধ্যে হয়েছে ছয় বছরের চুক্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না এলেও অ্যানফিল্ডে আজই আসছেন তিনি। মেডিকেল টেস্ট ও কাগজপত্র সইয়ের পর লিভারপুল শিগগিরই দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করবে তাদের নতুন তারকাকে।
এই দলবদল একাধিক রেকর্ড নতুন করে লিখেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি সাইনিং। একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অন্য ক্লাবে যাওয়ার সময় ফিলিপে কৌতিনহোর ১৩৫ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন ইসাক।
নিউক্যাসেলের হয়ে গত মৌসুমে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি, ৪২ ম্যাচে ২৭ গোল করে দলকে কারাবাও কাপ জিততে সাহায্য করেছিলেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ১০৯ ম্যাচে ৬২ গোল ও ১১ অ্যাসিস্টের মালিক ইসাক। এর আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়েও খেলেছেন এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড।
লিভারপুলের এই সাফল্য শুধু একটি নতুন ফরোয়ার্ডকেই আনছে না, বরং প্রমাণ করছে ইউরোপিয়ান ট্রান্সফার মার্কেটে তাদের আর্থিক শক্তি ও প্রতিযোগিতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা। অ্যানফিল্ডের দর্শকরা তাই এখন অপেক্ষা করছে কবে তাদের নতুন রেকর্ড সাইনিং, লাল জার্সিতে মাঠে নামবেন।
আরও পড়ুন: