ব্রাইটনের কাছে পয়েন্ট খোয়ালো ম্যানসিটি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১৭

শেয়ার

ব্রাইটনের কাছে পয়েন্ট খোয়ালো ম্যানসিটি
ম্যানসিটিকে হারিয়ে ব্রাইটনের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত।

প্রিমিয়ার লিগে শুরুটা মোটেও স্বপ্নময় হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা হারল ব্রাইটনের কাছে, এবং এদিনের ২-১ ব্যবধানে হার সিটির জন্য বড় ধাক্কা। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সিটি দ্বিতীয়ার্ধে উল্টো প্রয়াসে ম্যাচ হারল।

 

প্রথমার্ধে সিটি সমানতালে খেলার চেষ্টা করলেও ব্রাইটনকে খেলতে খুব সুযোগ দেয়নি। ব্রাইটনের কয়েকটি পাসে ভুল ধরে ফেলে তারা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। তবুও হাফ টাইমের সময় স্কোরলাইন ছিল ১-০ সিটির পক্ষে। এদিকে ব্রাইটন অধীনে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছিল এবং সঠিক সময়ে করার জন্য ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের পরিবর্তনও ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়।

 

দ্বিতীয়ার্ধে সবকিছু বদলে যায়। ব্রাইটন সমান তালে খেলতে শুরু করে এবং ৮৮ মিনিটে ব্রাজান গ্রুদার দুর্দান্ত গোল ম্যানচেস্টার সিটির সমতা ভেঙে দেয়। এই গোলের পর ব্রাইটনের কোচ ফাবিয়ান হুর্জেলার আনন্দ প্রকাশ করতে পারেননি।

 

এদিকে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির মধ্যে ছিল জেমস মিলনার পেনাল্টি। ৩৯ বছর ২৩৯ দিন বয়সী এই ইংলিশ মিডফিল্ডার প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে পেনাল্টি দিয়ে গোল করা সবচেয়ে বৃদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। মিলনার পেনাল্টি ১-১ সমতা আনে এবং এই মুহূর্তে ম্যাচ পুরোপুরি উল্টে যায়। মিলনার অভিজ্ঞতা এবং মানসিক দৃঢ়তা সিটির যুব খেলোয়াড়দের জন্য এক বড় উদাহরণ।

 

ম্যাচে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। ব্রাইটনের গ্রুদা যখন বল নিয়েছিলেন, তখন সিটির খেলোয়াড় খুসানভ তার পায়ে পাড়া দেন, যা রেফারি পেনাল্টি হিসেবে দিচ্ছেন। অন্যদিকে, হ্যাল্যান্ডের একটি সুযোগও ছিল, কিন্তু বলটি তার পায়ের উচ্চতার চেয়ে সামান্য উপরে যাওয়ায় গোল হয়নি।

 

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিটি সমতা ফিরানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। দীর্ঘ ৮ মিনিটের স্টপেজ সময়েও তারা গোল করতে পারেনি। এর ফলে ব্রাইটন মাঠ ছাড়লো ২-১ ব্যবধানে জয়ের সঙ্গে, আর সিটির অধীনে পেপ গুয়ার্ডিয়োলা দুই ম্যাচে দুইটি হারের মুখোমুখি।

 

এই হার ম্যানচেস্টার সিটির জন্য বড় ধাক্কা, কারণ তারা এখন প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সপ্তাহেই তালিকার নিচের দিকে চলে যেতে পারে। অন্যদিকে, ব্রাইটনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়। তাদের সমন্বয়, ধৈর্য্য এবং শেষ মুহূর্তে মানসিক দৃঢ়তা একদিকে যেমন দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, তেমনি নতুন খেলোয়াড়দেরও প্রেরণা যোগাচ্ছে।