শিরোনাম

পেনাল্টি শট নেওয়ার আগমূহূর্তে ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ছবি: সংগৃহীত।
ম্যাচের ঘড়িতে তখন ৩৩ মিনিট। ফুলহামের মাঠ নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে পেনাল্টি স্পটের দিকে। বল তুলে রেখেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ। গোল হলে দল এগিয়ে যাবে, ম্যাচের গতিপথও বদলে যাবে। কিন্তু বল রাখতেই ঘটে অদ্ভুত এক ঘটনা, পেছনে যেতে গিয়ে ধাক্কা লাগে রেফারি ক্রিস ক্যাভানাহর সঙ্গে। মুহূর্তের মধ্যে মনোযোগে চিড় ধরে যায় ফার্নান্দেজের।
তিনি আবারও বল সাজিয়ে নেন, শ্বাস নেন গভীর করে, কিন্তু কিছু যেন আর ঠিকঠাক মেলে না। শটটা ভেসে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন হতাশায়। দর্শকরা হতবাক, সতীর্থরা স্তব্ধ।
তবু দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্য যেন একটু সহায় হয় ইউনাইটেডের। রদ্রিগো মুনিজের আত্মঘাতী গোলে এগিয়েও যায় তারা। কিন্তু সেই আনন্দ টেকেনি বেশি সময়। বদলি নেমে এমিল স্মিথ রো গোল করে ফুলহামকে ফেরান সমতায়। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ড্রয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে এসে ফার্নান্দেজ অজুহাত খোঁজেননি। তবে ঘটনাটির প্রসঙ্গ টেনে বললেন, রেফারির অন্তত দুঃখপ্রকাশ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, “পেনাল্টি নেওয়ার সময় প্রতিটি খেলোয়াড়ের কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকে, যেগুলো সম্পূর্ণ নিজের মতো। ওই ধাক্কায় সেটি ব্যাহত হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম রেফারি ক্ষমা চাইবেন, কিন্তু সেটা হয়নি। অবশ্য এটিই আমার মিসের কারণ নয়। আমার শটটাই ছিল বাজে, পায়ের আঘাতটা অনেক নিচে পড়েছিল, তাই বল চলে যায় ক্রসবারের ওপরে।”
প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমটা শুরু হয়েছে একেবারেই ভিন্নভাবে ইউনাইটেডের জন্য। প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল আর্সেনালের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ফুলহামের মাঠ থেকে ফিরে এলো কেবল একটি পয়েন্ট নিয়ে। টেবিলে অবস্থান এখন ১৬ নম্বরে। গত মৌসুমের ব্যর্থতার পর নতুন মৌসুমেো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না এরিক টেন হাগের শিষ্যদের খেলায়।
আরও পড়ুন: