শিরোনাম

ভারতের সাবেক ব্যাটার ওয়াসিম জাফর। ছবি: সংগৃহীত।
হংকংয়ের বিপক্ষে জয় পেলেও প্রত্যাশিতভাবে নেট রান রেট বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে লিটন দাসরা খেললেন ১৭.৪ ওভার। অথচ এখানেই উঠছে প্রশ্ন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা আরও দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে পারলো না।
ম্যাচ শেষে তাওহীদ হৃদয় ব্যাখ্যা দেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী চেষ্টা করেও রান রেট বাড়াতে পারেননি তারা। তবে ভারতের সাবেক ব্যাটার ওয়াসিম জাফরের মতে, বাংলাদেশ অন্তত দুই ওভার আগেই ম্যাচ শেষ করতে পারতো। তিনি মনে করেন, লিটন ও হৃদয়ের লম্বা জুটি থাকা সত্ত্বেও তারা যথেষ্ট ঝুঁকি নেননি।
জাফর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর আলোচনায় বলেন, “আমার মনে হয় ১৫ কিংবা ১৬তম ওভারেই ম্যাচ শেষ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। লিটন-তাওহীদ দুজনই সেট ছিলেন। তাওহীদ ৩৫ রান করেছে প্রায় সমান বল খেলে। ওদের হাতে সুযোগ ছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।”
প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তান হংকংকে হারিয়েছে ৯৪ রানে, তাদের নেট রান রেট এখন +৪.৭০০। সেখানে ৭ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশের নেট রান রেট মাত্র +১.০০১। অর্থাৎ গ্রুপ অব ডেথে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে লিটনরা।
হংকংয়ের বোলাররাও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন। নিয়মিত স্লোয়ার ডেলিভারিতে বড় শট খেলা কঠিন করে তুলেছিলেন তারা। জাফরের মতে, বড় দলগুলোর দ্রুতগতির বল খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও এ ধরনের কম গতির ডেলিভারিতে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে টাইগারদের।
তবুও তার চোখে আসল সমস্যা ছিল মানসিকতায়, “এমন দলের বিপক্ষে ভয় নিয়ে নামলে হবে না। তবে এটাও সত্যি, কেউ টুর্নামেন্টের শুরুতে সহযোগী দেশের কাছে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে চাইবে না। তাই বাংলাদেশ হয়ত নেট রান রেটের চেয়ে জয়ের নিশ্চয়তাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে।”
বাংলাদেশের খেলা নিয়ে আরেকটি বড় প্রশ্নও উঠে এসেছে ছোট দলের বিপক্ষে ‘ফিয়ারলেস ক্রিকেট’ কই? সাম্প্রতিক সময়ে বড় দলের বিপক্ষে সাহসী ক্রিকেটের আলাপ হলেও, হংকংয়ের মতো প্রতিপক্ষের সামনে সেই রূপ দেখা যায়নি। বরং নিরাপদ ক্রিকেটে কেবল জয়ের দিকেই মনোযোগ দিয়েছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: