শিরোনাম

ভারতের 'দ্যা ওয়াল' খ্যাত রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিকেটের ইতিহাস বলে, উচ্চতা কখনোই আসল মাপকাঠি নয়। খাটো গড়নের ব্যাটাররাও নিখুঁত কৌশল, ভারসাম্য আর মানসিক দৃঢ়তায় শিখরে পৌঁছেছেন। সুনীল গাভাস্কার কিংবা শচীন টেন্ডুলকার প্রমাণ করেছেন, সাফল্যের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে ক্রিজে স্থির থাকা ও সঠিক শট বাছাই করার মধ্যে। যদিও আধুনিক ক্রিকেটে লম্বা ব্যাটাররা পাওয়ার-হিটিংয়ে এগিয়ে আছেন, খাটো ব্যাটারদের সূক্ষ্ম টেকনিক আজও তাদেরকে কিংবদন্তির মর্যাদা এনে দিচ্ছে।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন, ক্রিকেটে খাটো ব্যাটাররা বরাবরই এক ধরণের সুবিধা পেয়ে এসেছেন। তাদের নিচু কেন্দ্রভারের কারণে ব্যালান্স ধরে রাখা সহজ হয়, যা শট খেলার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
সম্প্রতি ‘হাল চাল ঔর সওয়াল’ নামের একটি পডকাস্টে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ‘দ্য ওয়াল’ বলেন, “গাভাস্কার ছিলেন অসাধারণ ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাটার। তার দাড়ানোর ভঙ্গিতেই এমন এক স্থিরতা ছিল, যা আমাকে ভীষণভাবে টানত। টেন্ডুলকারও একইভাবে স্থির ছিলেন। খাটো ব্যাটারদের ব্যালান্স বরাবরই চোখে পড়ে কারণ তাদের কেন্দ্রভার তুলনামূলক নিচে থাকে।”
দ্রাবিড় আরও যোগ করেন, “গাভাস্কার, টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, সবাই খাটো গড়নের হলেও মহান হয়েছেন। এমনকি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানও। বিরাট কোহলিও খুব লম্বা নন, যদিও আমি বললে হয়তো সে খুশি হবে না।”
তবে খেলার বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দ্রাবিড় ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তার মতে, এখনকার ক্রিকেট অনেকটাই শক্তি ও ছক্কার খেলায় পরিণত হয়েছে। ফলে লম্বা ব্যাটারদের লম্বা হাত ও বল পৌঁছানোর বাড়তি ক্ষমতা সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “আজকের ক্রিকেটে পদার্থবিদ্যা কাজ করছে লম্বা ব্যাটারদের পক্ষে। কেভিন পিটারসেন, কাইরন পোলার্ড কিংবা টি-টোয়েন্টির বড় শট খেলোয়াড়দের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।”
আরও পড়ুন: