শিরোনাম

(ডান থেকে) সাকিব আল হাসান, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) গতকাল সেন্ট কিটস অ্যান্ড প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ঝলক দেখালেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে মাত্র ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে খেলেন ঝড়ো ইনিংস, ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৫ রান। তাঁর এই পারফরম্যান্সে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা ফ্যালকনস জেতে ৭ উইকেটে। ম্যাচের সবচেয়ে প্রভাবশালী পারফর্মার হওয়ায় সাকিবকেই বেছে নিতে কষ্ট হয়নি বিচারকদের, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এটি সাকিবের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪৪তম ম্যাচসেরা পুরস্কার। সমানসংখ্যক ম্যাচসেরার মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলও। তবে রাসেলের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেই এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচসেরার তালিকায় তিনি যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে। সামনে রয়েছেন চারজন, আর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা তিনজনকে সাকিব খুব সহজেই টপকে যেতে পারেন।
রাসেলের পরিসংখ্যানটাও এখানে উল্লেখযোগ্য। ২০১০ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি খেলে আসা এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ইতোমধ্যেই খেলেছেন ৫৬৪ ম্যাচ, রান করেছেন ৯৩৬১, নিয়েছেন ৪৮৭ উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন ৪৪ বার। অন্যদিকে, ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি যাত্রা শুরু করা সাকিব মাত্র ৪৫৭ ম্যাচেই পেয়েছেন ৪৪ বার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি। ব্যাট হাতে তাঁর রান ৭৫৭৪, উইকেট সংখ্যা ৫০২। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৭ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট, এই অনন্য দ্বৈত সাফল্যের মালিক একমাত্র ক্রিকেটার তিনি।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস। ৫০৬ ম্যাচে ৪৫ বার হয়েছেন ম্যাচসেরা। সিপিএলেই খেলছেন এখন, ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে। তৃতীয় স্থানে আছেন তাঁর সতীর্থ কাইরন পোলার্ড। ৭১০ ম্যাচ খেলে ৪৭ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। তবে বয়স এবং কোচিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে।
এরপর আছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এখন পর্যন্ত ৪৮৬ ম্যাচে ৪৮ বার হয়েছেন ম্যাচসেরা। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত ১৬ আগস্টই অর্জন করেছেন সর্বশেষ ম্যাচসেরার পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখনো নিয়মিত খেলছেন তিনি।
তবে সবার শীর্ষে আছেন ক্রিস গেইল। ৪৬৩ ম্যাচে রেকর্ড ৬০ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তি। ২০২২ সালের পর আর টি-টোয়েন্টি না খেললেও তাঁর রেকর্ড আপাতত ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আরও পড়ুন: