শিরোনাম

(বাম থেকে) এবি ডি-ভিলিয়ার্স, জাসপ্রীত বুমরাহ। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের তারকা পেসার জাসপ্রীত বুমরাহকে এশিয়া কাপে সব ম্যাচে খেলানো উচিত নয়, এমন মত দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর মতে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বুমরাহকে বেছে খেলানোই ভারতের জন্য লাভজনক কৌশল হবে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বুমরাহ খেলেছিলেন মাত্র তিনটিতে। সিরিজের শুরুতেই জানানো হয়েছিল, তাঁকে সীমিত ম্যাচে দেখা যাবে। তখন গুঞ্জন উঠেছিল, এশিয়া কাপেও হয়তো তিনি থাকবেন বিশ্রামে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসন্ন এশিয়া কাপের দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
বুমরাহ ফিট অবস্থায় থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ নিঃসন্দেহে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পাকিস্তানের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে হারাতে তাঁর ভূমিকা বড় হতে পারে। তবে ডি ভিলিয়ার্স মনে করছেন, তাঁকে সব ম্যাচে নামানো উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, “তাকে দলে দেখে দারুণ লাগছে। তবে আমি বিশ্বাস করি না, সে সব ম্যাচ খেলবে। রিপোর্টে দেখেছি, নির্বাচকরা তাকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য রেখে দেবেন। এই সতর্ক ভাবনাটাই আমাকে খুশি করেছে। সিনিয়র এবং প্রভাবশালী খেলোয়াড়দের এভাবেই ম্যানেজ করতে হয়।”
ডি ভিলিয়ার্স আরও যোগ করেন, এখনকার ক্রিকেট সূচি এত ঘন ঘন যে ৩০ পেরোনো খেলোয়াড়দের শরীর অতিরিক্ত চাপে পড়ে। নিয়মিত খেলার চাপে তাদের সেরাটা পাওয়া কঠিন। তাই খেলোয়াড় ম্যানেজমেন্টে সচেতন হতে হবে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এটা খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নয়। যারা বোঝেন, তারা জানেন খেলোয়াড়কে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করলে তার কাছ থেকে সেরাটা পাওয়া যায়। বুমরাহর ক্ষেত্রে এভাবে শুরু হওয়ায় আমি খুশি।”
ইংল্যান্ড সফরে নিজের সেরাটা দিতে না পারলেও, বুমরাহর মান এত উঁচু যে প্রতিদিনই একই পারফরম্যান্স আশা করা অযৌক্তিক। তাই তাঁকে জোর করে সব ম্যাচ খেলানোর পরিবর্তে সঠিক সময়ে ব্যবহার করাই হবে কার্যকরী কৌশল বলে মনে করেন ডি ভিলিয়ার্স। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে তাঁকে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে বা নকআউট পর্যায়ে মূল অস্ত্র হিসেবে নামাতে পারে।
ভারতের বোলিং আক্রমণে বুমরাহর বিকল্পও আছে। আর্শদীপ সিং, হার্শি রানা কিংবা হার্দিক পান্ডিয়া, তাঁরা প্রস্তুত আছেন সামনের সারির দায়িত্ব নিতে। ফলে ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বাস করেন, বুমরাহকে বাছাই করা ম্যাচে ব্যবহার করলে ভারত কেবল ভারসাম্যপূর্ণ দলই গড়বে না, বরং প্রতিপক্ষের জন্য আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: