শিরোনাম
.jpg)
ছোট দেশগুলোর টেস্ট খেলা কমানোর পক্ষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। ছবি: সংগৃহীত।
টেস্ট ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি অবশেষে খেলাটির ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মুখে ফেলতে পারে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তার মতে, বর্তমানে যে ঘনঘটা ও সংখ্যাধিক্যের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে, তা দীর্ঘমেয়াদে অনেক ক্রিকেট বোর্ডের জন্য দেউলিয়ার ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে।
গ্রিনবার্গ স্পষ্ট করে বলেছেন, "এখন সময় এসেছে ‘সংখ্যার চেয়ে মানে’ জোর দেওয়ার। এক বছরে বেশি সিরিজ আয়োজনের বদলে কম কিন্তু মর্যাদাপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ আয়োজনের দিকে নজর দেওয়া উচিত"। “টেস্ট ক্রিকেটে বিরলতা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়”। “বিশ্বের প্রতিটি দলকে টেস্ট খেলতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা থাকা জরুরি নয়, এটা মেনে নেওয়ার সময় এসেছে।”
অস্ট্রেলিয়া বোর্ডপ্রধান বিশেষভাবে অ্যাশেজের উদাহরণ টেনে বলেন, "ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক সিরিজ এখনো টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে লাভজনক ও জনপ্রিয় আয়োজন।" ২০২৫-২৬ মৌসুমে অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর, পার্থে প্রথম টেস্ট দিয়ে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ প্রমাণ করেছে মানসম্পন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনো দর্শকের হৃদয় জয় করতে সক্ষম। সেই সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়, যেখানে শেষ টেস্টের শেষ দিনে মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ বোলিংয়ে নাটকীয়ভাবে জয় তুলে নেয় ভারত। তবে এর বিপরীতে, কিছু সিরিজ যেমন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারানো কিংবা নিউজিল্যান্ডের জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ৩৫৯ রানে হারানো প্রতিযোগিতার অভাবে দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।
টেস্ট ক্রিকেটের এই সংকটের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে টি-টোয়েন্টির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা। বিশেষত অপ্রচলিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে স্বল্প সময়ের এই ফরম্যাট দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বিস্তার আন্তর্জাতিক সূচিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
গ্রিনবার্গ মনে করেন, ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে হলে সিরিজগুলোর পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ও ‘ঝুঁকি’ থাকতে হবে, যেন প্রতিটি ম্যাচের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। “যেখানে টেস্ট ক্রিকেট অর্থবহ, সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে”। “তখনই এই ফরম্যাট থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়া সম্ভব হবে।”
আইসিসি সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে, যেখানে দুই-স্তরের প্রতিযোগিতা চালুর বিষয়ও বিবেচনায় আছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শক্তিশালী দলগুলো একে অপরের সঙ্গে বেশি খেলবে, আর তুলনামূলক দুর্বল দলগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
আরও পড়ুন: