শিরোনাম
.jpg)
অর্জুন টেন্ডুলকারের জীবনে নতুন ইনিংসের শুরু। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিকেট মাঠে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে হার মানানোর পর এবার জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জে নাম লিখিয়েছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। বুধবার (১৩ আগস্ট) ঘরোয়া ও পারিবারিক আবহে সম্পন্ন হয়েছে তার বাগদান। জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুম্বাইয়ের সুপরিচিত ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি সানিয়া চন্দোককে।
অনুষ্ঠানটি ছিল পুরোপুরি ব্যক্তিগত। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে আংটি বদলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক হয় এই সম্পর্ক। সানিয়ার পরিবার মুম্বাইয়ের হোটেল ও খাদ্য শিল্পে সুপ্রতিষ্ঠিত। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল চেইন এবং জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘ব্রুকলিন ক্রিমারি’-এর মালিক ঘাই পরিবার। সেই পরিবারেরই জামাই হতে যাচ্ছেন মাত্র ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার অর্জুন।
অর্জুনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ইতিমধ্যেই নজর কাড়ছে। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন তিনি, আর ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করছেন গোয়ার হয়ে। পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে কার্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষমতা রয়েছে তার। এখন পর্যন্ত ১৭টি প্রথম শ্রেণির ও ১৮টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন, যা তাকে দেশের প্রতিশ্রুতিশীল অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত করেছে।
অন্যদিকে সানিয়া চন্দোকও নিজের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। পারিবারিক ব্যবসায় সক্রিয় থাকার পাশাপাশি তিনি নিজস্ব একাধিক উদ্যোগ পরিচালনা করছেন। বিলাসী জীবনযাপনের পরিবর্তে সাধারণত সাদামাটা জীবনই পছন্দ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব একটা সক্রিয় না থাকলেও, ঘনিষ্ঠ মহলে তার দক্ষতা ও বিনয়ী স্বভাবের কথা সুবিদিত।
দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয় ও পারস্পরিক আস্থা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন অর্জুন ও সানিয়া। পরিবারগুলোর সম্মতিতে এই সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার প্রথম ধাপ হিসেবে সম্পন্ন হলো বাগদান।
যদিও অনুষ্ঠান ছিল সাদামাটা, তবে তা ভরে উঠেছিল আন্তরিকতার উষ্ণতায়। অর্জুনের জীবনে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও সমানভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
শচীন টেন্ডুলকার বরাবরই ব্যক্তিগত জীবনকে জনসম্মুখে আনার ব্যাপারে সংযত। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এই বাগদানের খবর শেয়ার করার পরও বিবাহের অনুষ্ঠান হবে সীমিত অতিথি ও ঘনিষ্ঠ পরিমণ্ডলে। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর, কারণ প্রজন্মের সীমানা পেরিয়ে টেন্ডুলকার পরিবারের গল্পে যুক্ত হলো নতুন একটি অধ্যায়।
আরও পড়ুন: