মাসসেরা হওয়ার রেকর্ড গড়লেন শুবমান গিল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:০৪

আপডেট: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৯

শেয়ার

মাসসেরা হওয়ার রেকর্ড গড়লেন শুবমান গিল
চারবার মাসসেরা হয়ে গিলের বিশ্ব রেকর্ড। ছবি: সংগৃহীত।

ইংল্যান্ড সফরের প্রতিটি দিনে ব্যাট হাতে যেন আলোকিত ছিলেন শুবমান গিল। তার ধারাবাহিকতা, নেতৃত্ব ও রানের বন্যা মিলিয়ে এই সফর হয়ে উঠেছে স্মরণীয়। আর সেই পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ জুলাই মাসের আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। শুধু জেতাই নয়, এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ মাসসেরা খেতাব, যা পুরুষ ক্রিকেটে একেবারেই নজিরবিহীন।

 

গিলের আগে পুরুষ ক্রিকেটে কেউ চারবার মাসসেরা হননি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরস্কার জেতার পর, ইংল্যান্ড সফরের এই সাফল্যে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম খোদাই করলেন তিনি। নারী ক্রিকেটে অবশ্য সমান সংখ্যক অর্জন আছে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার অ্যাশ গার্ডনার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা হেইলি ম্যাথুসের।

 

জুলাই মাসে গিল খেলেছেন ৩ টেস্ট, যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৪.৫০ গড়ে ৫৬৭ রান। এই অসাধারণ গড়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল এজবাস্টনের দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচে তিনি করলেন দুই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি, ২৬৯ ও ১৬১ রান। এক ম্যাচে ৪৩০ রানের এই কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এই দ্বিশতক ও সেঞ্চুরির মেলবন্ধনেই সিরিজে ভারত ফিরেছিল ১-১ সমতায়।

 

এরপর ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন গিল, যা ভারতকে ম্যাচ বাঁচাতে সহায়তা করে। ব্যাট হাতে এই ধারাবাহিকতা ও নেতৃত্বগুণই তাকে বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড) ও উইয়ান মুল্ডারকে (দক্ষিণ আফ্রিকা) পেছনে ফেলে মাসসেরা নির্বাচিত করেছে।

 

পুরস্কার জয়ের পর গিল জানান, “এই পুরস্কার নির্বাচনের জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানাই এবং আমার সতীর্থদেরও কৃতজ্ঞতা, যারা এই রোমাঞ্চকর সিরিজে পাশে ছিলেন। সামনে মৌসুমেও আমি এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশের জন্য আরও সম্মান বয়ে আনতে চাই।”

 

নারী ক্রিকেটে জুলাই মাসের সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার সোফিয়া ডাঙ্কলি। তবে মাসসেরার সামগ্রিক তালিকায় এখন সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম শুবমান গিলেরই।

 

সবচেয়ে বেশিবার মাসসেরা (নারী-পুরুষ) ক্রিকেটারের তালিকায় এখন সমান ৪টি করে পুরস্কার নিয়ে আছেন, শুবমান গিল (ভারত), অ্যাশলি গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া), হেইলি ম্যাথুস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

 

গিলের এই অর্জন শুধু তার ব্যক্তিগত রেকর্ডের খাতায় নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসেও এক গর্বের অধ্যায় হয়ে থাকবে।