শিরোনাম
.jpg)
করাচিতে নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ৪০ ঊর্ধ্ব ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ছবি: সংগৃহীত।
করাচি এবার সাক্ষী হতে যাচ্ছে এক অভিনব ক্রিকেট উৎসবের। প্রথমবারের মতো ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব খেলোয়াড়দের জন্য আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যার সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ভেটেরান্স ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (পিভিসিএ)। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ব্যতিক্রমী প্রতিযোগিতা।
মোট ১২টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে সাজানো হয়েছে টুর্নামেন্টের কাঠামো। গ্রুপ-১ এ স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপ-২ এ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, সৌদি আরব এবং রেস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড একাদশ।
বিশ্ব ক্রিকেটের বহু পরিচিত মুখ দেখা যাবে এই আসরে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, ইউনুস খান, অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের মতো তারকারা মাঠ মাতানোর সম্ভাবনা রাখছেন। শর্ত অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর। বাংলাদেশ সরাসরি কোনো দল পাঠাচ্ছে না, তবে বিশ্ব একাদশে সুযোগ পেলে দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও এই মঞ্চে নামতে পারবেন।
পাকিস্তান ভেটেরান্স ক্রিকেটের ইতিহাসও কম গৌরবময় নয়। ২০২২ সালে ব্রিসবেনে ৬০+ বিশ্বকাপ, ২০২৩ সালে করাচিতে ৪০+ গ্লোবাল কাপ এবং ২০২৫ সালে কলম্বোতে ৫০+ বিশ্বকাপ জিতে তারা প্রমাণ করেছে প্রবীণ ক্রিকেটেও তারা শক্তিশালী দল। এবার নিজেদের মাঠে নতুন ফরম্যাটে শিরোপা ধরে রাখাই হবে তাদের লক্ষ্য।
করাচির একাধিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৪২টি ম্যাচ। বিশেষভাবে, পাকিস্তানের সব ম্যাচ হবে ফ্লাডলাইটে, যা দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। আসরটি মূলত ১-১৩ ডিসেম্বর করার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে করাচিতে শুরু হচ্ছে ৩৫তম জাতীয় গেমস, যেখানে অংশ নেবে প্রায় ৭ হাজার ক্রীড়াবিদ, কর্মকর্তা ও টেকনিক্যাল স্টাফ। তাই বিশ্বকাপের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে।
এই টুর্নামেন্ট শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি হয়ে উঠবে প্রজন্মের ব্যবধান পেরিয়ে ক্রিকেট ভালোবাসার উদযাপন। যারা একসময় আন্তর্জাতিক অঙ্গন মাতিয়েছেন, তারাই এবার ফিরবেন মজার ছলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ভিন্ন রঙে ভক্তদের আনন্দ দিতে। করাচির ক্রিকেটপ্রেমীরা তাই অপেক্ষায় রয়েছেন সাবেক নায়কদের আবার একসঙ্গে দেখার জন্য।
এটি নিঃসন্দেহে বিশ্ব ক্রিকেটে এক অনন্য সংযোজন, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে একই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য। ক্রিকেট শুধু তরুণদের খেলা নয়, বরং জীবনের যেকোনো পর্যায়ে এটি আনন্দের উৎস হতে পারে এই বার্তাই পৌঁছে দেবে করাচির ভেটেরান্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
আরও পড়ুন: