১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বায়োমেকানিক্স ল্যাব বানাবে বিসিবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৪২

আপডেট: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৭

শেয়ার

১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বায়োমেকানিক্স ল্যাব বানাবে বিসিবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বায়োমেকানিক্সের নতুন অধ্যায় শুরু। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বায়োমেকানিক্সের যুগ আনতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে বিসিবি। বোলিং অ্যাকশন বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে ব্যাটিং টেকনিক উন্নয়ন, ফিল্ডিং স্কিল শাণিত করা, এমনকি চোট প্রতিরোধ ও পুনর্বাসনের মতো ক্ষেত্রেও বায়োমেকানিক্সের অবদান অপরিসীম। এই প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করতে পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্থাপন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট বায়োমেকানিক্স ল্যাব। বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।

 

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ফাহিম সিনহার তথ্য অনুযায়ী, ল্যাবের জন্য ইতোমধ্যেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পরামর্শক খোঁজার কাজ চলছে যা সম্ভবত ভারত বা পাকিস্তান থেকে আনা হতে পারে। একইসঙ্গে স্থানীয় জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে, যেন ভবিষ্যতে ল্যাব পরিচালনায় স্বনির্ভর হওয়া যায়।

 

শুরুর ধাপে এটি হবে মধ্যম মানের ল্যাব, তবে প্রযুক্তিগত পরিসর বাড়ানো গেলে বাজেট ১৫–২০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফাহিম সিনহার মতে, আধুনিক ক্রিকেটে যে পরিবর্তন ও উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে, তার বড় অংশই বায়োমেকানিক্স গবেষণার ফসল। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, ভারতে বর্তমানে ১১টি ল্যাব সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

 

বাংলাদেশে এর আগে বিকেএসপিতে একটি বায়োমেকানিক্স ল্যাব স্থাপন হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটি কার্যত অকেজো অবস্থায় রয়েছে, সীমিত ব্যবহারে শুধুমাত্র বিকেএসপির খেলোয়াড়রাই সুবিধা পাচ্ছেন। নতুন ল্যাব চালু হলে দেশে বসেই বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা ও উন্নতির সুযোগ তৈরি হবে।

 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মনে করেন, খেলাধুলায় বায়োমেকানিক্স শুধু পারফরম্যান্স বাড়ায় না, বরং চোটের ঝুঁকিও কমায়। তবে তার মতে, সঠিক প্রয়োগই মূল চ্যালেঞ্জ দক্ষ টেকনিশিয়ান, সঠিক বিশ্লেষণ ও কোচদের স্পষ্ট ধারণা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।

 

বিসিবি পরিকল্পনা করছে, ল্যাব চালুর আগে জাতীয় ও ঘরোয়া পর্যায়ের কোচদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম রাখা হবে। এতে খেলোয়াড়দের ল্যাব ব্যবহারের পথ হবে সহজ ও ফলপ্রসূ।

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বায়োমেকানিক্স ল্যাবের সূচনা শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং পেশাদারিত্ব ও বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ সংস্কৃতির নতুন অধ্যায়ও লিখবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।