শিরোনাম

বুলবুলকে মূল্যায়ন না করায় প্রশ্ন তুললেন ইমরুল কায়েস। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় দলে দীর্ঘদিন ওপেনিংয়ে খেলা ইমরুল কায়েস সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের প্রতি সম্মান ও মূল্যায়নের অভাব নিয়ে তীব্র আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া বুলবুল এর আগে আইসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। দেশসেবার ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশে, কিন্তু অবস্থান করছেন মাত্র ১২ হাজার টাকার একটি ভাড়া বাসায়। বিষয়টি ইমরুলের চোখে ‘অস্বাভাবিক’।
তিনি লিখেছেন, “একজন মানুষ যিনি নিজের স্থায়ী ঠিকানা ছেড়ে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে এসে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করছেন তাঁকে যদি এমন একটি বাসায় থাকতে হয়, তাহলে সেটা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।”
পোস্টে ইমরুল তুলনা করেছেন বিদেশি কোচ ও স্টাফদের ব্যয়ের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, বিসিবি তাদের পেছনে প্রতি বছর কোটিরও বেশি টাকা খরচ করছে, অথচ বোর্ডের শীর্ষ পদে থাকা একজন প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বোর্ডকেও চাপ নিতে হয়েছে।
ইমরুল আরও লিখেছেন, “বিসিবি শুরুতে ভালো মানের থাকার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু কিছু সাধারণ মানুষ এবং ‘দুষ্টচক্র’ সেই বিষয় নিয়ে এত সমালোচনা করেছে যে, তা বুলবুল ভাইয়ের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। আর সে কারণেই তিনি আজ সাধারণভাবে থাকছেন।”
এই ক্রিকেটারের দৃষ্টিতে এটি দেশের ক্রিকেটের জন্য হতাশাজনক। তাঁর প্রশ্ন, “আমরা কবে শিখব সঠিক মানুষকে সঠিক সম্মান দিতে? এমন কিছু সংখ্যালঘু মানুষ সব সময় থেকেই গেছে, যারা দেশেরই ক্ষতি করে।”
জাতীয় দলে খেলা বহু তরুণ ক্রিকেটারের অভিভাবকসুলভ মানুষ ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন দেশের প্রয়োজনে ফিরলেও, এই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে যে সমাজ যথাযথভাবে মূল্যায়ন করছে না, সে ইঙ্গিতই দিলেন ইমরুল।
পোস্টের এক পর্যায়ে ইমরুল লিখেছেন, “যেমন করে বুলবুল ভাই নিজেই বলেছেন, কিছুদিন পর তিনি চলে যাবেন। দুঃখের বিষয়, আমরা অনেক সময় সঠিক মানুষকে সঠিক সম্মান দিতে পারি না।”
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রশ্ন উঠছে। ইমরুলের পোস্ট যেন নতুন করে সেই আলোচনার দরজাই খুলে দিল।
আরও পড়ুন: