শিরোনাম

এশিয়া কাপ সামনে রেখে পেশাদার ফিটনেস ক্যাম্পে একটুও ছাড় নেই। ছবি: সংগৃহীত।
মেঘলা আকাশের নিচেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিটনেস অনুশীলন। পেছনে প্রস্তুতির হিসাব, সামনে লক্ষ্য এশিয়া কাপ। সবকিছু মাথায় রেখেই গতকাল (৬ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে টাইগারদের ফিটনেস ট্রেনিং। আজও (৭ আগস্ট) সকাল থেকে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা।
সবার আগে উপস্থিত জাকের আলী ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের অন্যান্য সদস্যরাও যোগ দেন জিম সেশনে। এরপর ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলির তত্ত্বাবধানে শুরু হয় মূল মাঠের কসরত। সময় তখন ৮টা ৩০ মিনিট।
প্রথমেই ‘ডায়নামিক আর্ম সুইং’। হাত ও কাঁধের জড়তা কাটাতে এই অনুশীলন। এরপর ‘ডায়নামিক লেগ সুইং’, যা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি প্রতিরোধে কার্যকর। এসব ব্যায়ামে মূলত শরীরের নমনীয়তা বাড়ানো এবং রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত করাই লক্ষ্য।
এরপর শুরু দৌড়। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে গন্তব্যে। “স্টার্ট” শব্দেই ছুটে চলা। কয়েকজন হাল ছাড়লেও, বেশিরভাগই টিকে থাকেন পুরো সেশনজুড়ে। শারীরিক সীমা ছাড়িয়ে নিজেদের ঠেলে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে সকাল ৯টা ৩০ পর্যন্ত।
ফিটনেস ট্রেনার কেলি পুরো সময় ছিলেন সক্রিয়। নির্দেশনা দিয়েছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন, ঠাণ্ডা মাথায় অনুশীলন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ক্রিকেটারদের ক্লান্তি, অস্বস্তি সবকিছুতেই ছিল তাঁর কড়া নজর।
এই সেশনটাই শেষ নয়। আগামী সপ্তাহজুড়েই চলবে এমন প্রস্তুতি। এরপর শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। যেখানে থাকবেন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড, মনোবিদ ডেভিড স্কট, প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এবং অন্যান্য সহকারী কোচেরা।
সব প্রস্তুতির লক্ষ্য একটাই ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ ফিটনেস ও ফর্মে থাকা। এ কারণেই পেশাদার ও নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে শুরু হয়েছে টাইগারদের এ প্রস্তুতি পর্ব।
আরও পড়ুন: