দ্বিস্তরী টেস্ট কাঠামো নিয়ে সতর্ক ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১২

শেয়ার

দ্বিস্তরী টেস্ট কাঠামো নিয়ে সতর্ক ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড
টেস্ট সংস্কৃতিতে বিভাজনের বিরোধিতা ইসিবির। ছবি: সংগৃহীত।

টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রক্ষায় দুই স্তরের কাঠামো নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখন অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই প্রস্তাব নিয়ে সম্প্রতি আইসিসি নতুন করে উদ্যোগ নিলেও ইংল্যান্ড এমন ব্যবস্থায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী লড়াই হারানোর শঙ্কা দেখছে।

 

গত মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) একটি কমিটি গঠন করেছে, যারা টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে প্রস্তাবিত ‘দ্বিস্তরী কাঠামো’র সুপারিশ করবে। এ ব্যবস্থায় বর্তমান ৯ দলের পরিবর্তে দুইটি ভাগে ৬ করে মোট ১২ দল খেলবে।

 

তবে টেস্ট ক্রিকেটের শক্ত ঘাঁটি ইংল্যান্ড এতে একেবারে স্বস্তিতে নেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন স্পষ্ট ভাষায় জানান, "অনেক বিকল্প নিয়ে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। এর মধ্যে স্তরভিত্তিক কাঠামো একটি। তবে ধরুন, আমরা একটি খারাপ সময় পার করছি, আর তাতেই যদি আমরা দ্বিতীয় স্তরে পড়ে যাই, তাহলে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতের সঙ্গে আমরা আর খেলতে পারবো না? এমনটা হতে পারে না। এখানে সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহার প্রয়োজন।"

 

থম্পসন আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) কাঠামো আরও শক্তিশালী করার পক্ষে মত দেন।

 

অন্যদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ দ্বিস্তরী কাঠামোর প্রতি দ্বিধান্বিত হলেও, টেস্ট ক্রিকেটের টিকে থাকার স্বার্থে পরিবর্তনের দরজাও বন্ধ করে দিচ্ছেন না।

 

"আমরা মানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত  যেহেতু টেস্ট ক্রিকেটে বিনিয়োগ করছি, আমাদের দায়িত্ব বাকি দেশগুলোকেও টিকিয়ে রাখা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোর টেস্টে শক্তিশালী থাকা আমাদেরই স্বার্থে। তবে এটা তারা একা পারবে না, আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।"

 

গ্রিনবার্গ বলেন, এই কাঠামো যদি ছোট দলগুলোর জন্য বাস্তবিক উন্নতি বয়ে আনে, তাহলে তিনি এর পক্ষে। কিন্তু যদি তা উল্টো হয়, তাহলে তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন।

 

"আমার মন খোলা, যদি এই পরিবর্তন ছোট দেশগুলোকে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, তবে আমি সমর্থন করবো। তবে যদি তা না হয়, উল্টো ক্ষতি হয়, তবে আমি পেছনে সরে যাবো," বলেন গ্রিনবার্গ।