আফ্রিদিকে ঘিরে বিতর্কে মুখ খুলল ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫২

শেয়ার

আফ্রিদিকে ঘিরে বিতর্কে মুখ খুলল ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষ
ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, আফ্রিদিকে দেখে মাঠ ছাড়েনি ভারত। ছবি: সংগৃহীত।

একটি ভিডিও ক্লিপ ঘিরে শুরু হয় আলোড়ন। দৃশ্যটি ছিল এমন স্টেডিয়ামের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন শহীদ আফ্রিদি, আর মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন্স দলের ক্রিকেটাররা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবিও ওঠে, আফ্রিদিকে দেখেই নাকি পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ভারতীয়রা।

 

এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ভিডিওতে দেখা মুহূর্তটি ভারত-পশ্চিম ইন্ডিজ ম্যাচের আগে ধারণকৃত, যেখানে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ শেষ করে পাকিস্তান দল মাঠ ছাড়ছিল। ওই সময় আফ্রিদি ছিলেন স্টেডিয়ামের বারান্দায়।

 

ডব্লিউসিএল-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই ভিডিওটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভারতীয় দল মাঠ ছাড়ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা বর্জনের কারণে নয়, বরং এটি ছিল ভিন্ন ম্যাচের অংশ।”

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান দলের মধ্যে মাঠের ভেতরে কোনো সময়ই মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ঘটেনি। ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে মিডিয়া ও সমর্থকদের আরও দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য।”

 

এবারের ডব্লিউসিএলে অংশ নেয় ছয়টি দল। ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়েই গড়া হয়েছিল দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল। সূচি অনুযায়ী দুই দলের একবার গ্রুপ পর্বে এবং একবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

 

তবে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ফলাফলস্বরূপ, ভারতীয় দল সেমিফাইনালে অংশ না নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায়। এই পরিস্থিতিকে ঘিরেই শুরু হয় বিভ্রান্তিমূলক প্রচার।

 

তবে আয়োজকদের এই বিবৃতি অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আফ্রিদির উপস্থিতি ছিল কাকতালীয় এবং এর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাঠ ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

 

ডব্লিউসিএল আয়োজকরা ভবিষ্যতের আসরগুলোতে এমন গুজব এড়াতে এবং ক্রিকেটীয় সৌহার্দ্য বজায় রাখতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে তারা আহ্বান জানিয়েছেন, ভিডিও বা ফুটেজ প্রকাশের আগে যথাযথ প্রেক্ষাপট যাচাই করাই হোক সকলের দায়িত্ব।